কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘বাংলাদেশে এই পোলারা জন্মালো কীভাবে যাদের পাকিস্তানি মনোভাব।’

শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‌‌‘ড. ইউনূস আপনি যদি মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে থাকেন তাহলে লতিফ সিদ্দিকীকে যখন বলা হয়েছে- লতিফ সিদ্দিকীর দুই গালে জুতা মারও তালে তালে তখন আমি ধরে নেব ড. ইউনূস আপনার দুই গালেও জুতা মারও তালে তালে বলা হয়েছে। আপনি যদি মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে থাকেন তাহলে আপনার গালে জুতা মারা হয়নি। আপনি যদি রাজাকার হয়ে থাকেন, আল বদর হয়ে থাকেন ও শান্তি কমিটির হয়ে থাকেন তাহলে মারা হয়নি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ও স্বাধীনতার পক্ষে যদি থাকেন, তাহলে আপনার গালেও জুতা মারা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’

তিনি বলেন, ‘সম্মান কিন্তু কুড়িয়ে পাওয়া যায় না। কুড়িয়ে নেওয়াও যায় না। সম্মান না করলে না করবেন। মুক্তিযুদ্ধ করে যদি দেশ বিসর্জন দিতে হয়, পাকিস্তান হয়, পাকিস্তানের কাছে অত্যাচারিত হওয়া আমার কাছে কিছুই না। কিন্তু বাংলাদেশে এই পোলারা জন্মালো কীভাবে যাদের পাকিস্তানি মনোভাব। কীভাবে জন্মালো? এটা আমাদের বুঝতে হবে না? দেখতে হবে না?’

সেনাপ্রধানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমি এ পর্যন্ত ওয়াকার সাহেবকে ভালোভাবে চিনি না। এখন যিনি সেনাপ্রধান, আমি তাকে নিয়ে কথাও বলি না। ১৯৭৫ সালে আমি যখন বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করেছিলাম, তাদের এলাকায় আমি অনেক ঘুরেছি। আমি লোকটাকে ভালো মানুষই মনে করি। তা যদি হয়, সেনাবাহিনী আমাদের গৌরব। পৃথিবীর বহু দেশে দেশ হওয়ার পর সেনাবাহিনী হয়েছে। আর আমাদের দেশে সেনাবাহিনী আগে হয়েছে। সেনাবাহিনী ত্যাগ-তিতিক্ষা রক্ত ঢেলে দেশ বানিয়েছে। আমাদের সেনাবাহিনী কিন্তু অনেক গর্বিত সেনাবাহিনী।’

তিনি বলেন, ‘হাসিনা হটাও আন্দোলনে সেনাবাহিনী যে ভূমিকা রেখেছে, জনগণের সামনাসামনি না দাঁড়িয়ে, সেটা সেনাবাহিনীর জন্য হাজার বছরের প্রশংসার একটা কাজ হয়েছে। কিন্তু সেই সেনাবাহিনীকে নিয়ে কেউ বলছে- ক্যান্টনমেন্ট উড়িয়ে দেবে, তাহলে তাদের কিছু দেখতে হবে না? ক্যান্টনমেন্ট উড়িয়ে দিলে আর কি থাকে। সেনাপ্রধান আপনি এটা দেখেন। সেনাবাহিনী প্রধান আপনাকে একটা কথা এজন্য বলছি, আপনার কথা আমি নিজ কানে শুনেছিলাম, টিভিতে দেখেছিলাম।’

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আপনি বলেছিলেন দেশের দায়িত্ব আমি নিলাম। আলহামদুলিল্লাহ আপনি দেশের ভালো করবেন। এই দায়িত্ব নিলেন। আপনি যদি সত্যিই দায়িত্ব নিয়ে থাকেন, তাহলে দেশে এত অরাজকতা কেন? অধ্যাপক ইউনূস কিন্তু বলেননি। ৫ তারিখে (দেশের) বাইরে ছিলেন। আপনি বলেছিলেন আমাকে ভরসা করেন, আমি দেশের দায়িত্ব নিলাম। আমি দেশের হেফাজত করব। কোথায় হেফাজত। সকাল-বিকেল মব হচ্ছে। কোথায় হেফাজত?’

তিনি আরও বলেন, ‘মঞ্চ ৭১’র অনুষ্ঠানে যারা মব করেছে তারা অপরাধী না, যারা ভাঙতে গেছে তারা অপরাধী? আপনি দেখেন না? কে অপরাধী? ২৬ বছর যাবত কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদকও একইসঙ্গে জেলে গেছে। আর কোটা আন্দোলনের কারণে শেখ হাসিনার বিদায় হয়নি, আল্লাহর গজবের কারণে হাসিনার বিদায় হয়েছে।’

সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য দেন- কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার হুমায়ুন বাঙ্গাল, আবুল কালাম আজাদ বীর বিক্রম, কালিহাতী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মনসুর আজাদ ছিদ্দিকী প্রমুখ।

 

সকাল নিউজ/এসএফ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শিহাব আহমেদ

Sokal News | সকাল নিউজ is a youth-led online news and media portal dedicated to delivering accurate, timely, and impactful news. Driven by a passion for truth and transparency, our mission is “সত্যের আলোয় প্রতিদিন” (“In the light of truth, every day”). Stay connected with us for trustworthy news coverage from a fresh perspective.

প্রধান কার্যালয়:
সকাল নিউজ, ই-১৭/৬, চায়না টাউন, ভিআইপি রোড, নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০

© ২০২৫ সকাল নিউজ. সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত Shihab Group.
Exit mobile version