নির্ধারিত সময়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা ভোট দেওয়া শুরু করেন। প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য আগে থেকেই সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডাকসু একটি মডেল তৈরি করতে পারলে সেটি হতে পারে সারা দেশের জন্য উদাহরণ।’
বিপুলসংখ্যক ভোটার এ নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। চারটার পর আর কাউকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে কেন্দ্রের ভেতরে যারা লাইনে থাকবেন তারা চারটার পরেও ভোট দিতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচনে স্বচ্ছতার ঘাটতি নেই বলে দাবি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। বেলা তিনটার দিকে সিনেট ভবনের তিনটি কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট সংগ্রহ হয়েছে। চারটার পরও যেসব শিক্ষার্থী লাইনে থাকবেন, তাদের ভোট নেওয়া হবে।’
ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর এখন চলছে গণনা। আজ রাতেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। এখন কেবল ফলাফলের অপেক্ষা।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রসংসদ ডাকসুর ১০০ বছর পূর্তির বছরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৩৮তম নির্বাচন। দীর্ঘ ছয় বছর পর আয়োজিত এই ভোটকে ঘিরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করেছে।
এবারই প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের বাইরে একাডেমিক ভবনে ভোট গ্রহণ করা হয়। ক্যাম্পাসের ৮টি কেন্দ্রে ৮১০ বুথে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত ছিলেন।
সকাল নিউজ/এসএফ