এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশকে ৪১ রানে হারালো ভারত। ১৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভার ৩ বলে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করে বাংলাদেশ। ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন সাইফ হাসান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করে পারভেজ হোসেন ইমন।
এ জয়ে ফাইনালে উঠে গেলো ভারত। আর টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল শ্রীলঙ্কার। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে আগে ব্যাট করতে নামায় বাংলাদেশ।
১৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভার ৩ বলে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করে বাংলাদেশ। ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন সাইফ হাসান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করে পারভেজ হোসেন ইমন। ৪১ রানের এই হার টি-টোয়েন্টিতে বড় হারই। অথচ টার্গেটটা ছিল মাত্র ১৬৯ রানের।
সাইফের লড়াকু ইনিংস সত্ত্বেও ৩ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ৫১ বলে সাইফ করেন ৬৯ রান। জিতে ভারত উঠল এশিয়া কাপের ফাইনালে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ এখন অঘোষিত সেমিফাইনাল, যে জিতবে তারাই ২৮ সেপ্টেম্বরের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারতের।
দ্বিতীয় ওভারে তানজিদ তামিমের উইকেট হারালেও সাইফ হাসান ও পারভেজ হোসেনের ইমনের জুটিতে পাওয়ার প্লেতে ৪৪ রান তুলে ভালো অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৪১ রানের মধ্যে ইমন, তাওহীদ হৃদয়, শামিম হোসেন ও জাকের আলীর উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়েছে তারা।
ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপ যাদবকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হন ইমন। সীমানার কাছে অভিষেক শর্মাকে ক্যাচ দেন তিনি। জাসপ্রিত বুমরাহকে ছক্কা মারা ইমন ১৯ বলে আউট হন ২১ রান করে। তাওহীদ হৃদয় হাত খোলার আগেই অক্ষর প্যাটেলের শিকার হন। ১০ বলে তিনি করেন মাত্র ৭।
সাধারণত ফিনিশিংয়ে নামেন শামিম হোসেন। এদিন তাকে প্রমোশন দিয়ে পাঠানো হয় জাকের আলীর আগে। ৩ বল খেলে রানের খাতাই খুলতে পারেননি এই ব্যাটার। বরুণ চক্রবর্তীর বলে আউট হন বোল্ড হয়ে। অন্যপ্রান্তে একের পর এক উইকেট পড়লেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের নায়ক সাইফ হাসান বাংলাদেশকে লড়াইয়ে রেখেছেন।
জাকের আলী রানআউট হওয়ার পর সাইফ ৩ চার ও ৪ ছয়ের মারে ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিন বলের ব্যবধানে তার দুই ছয়ে বাংলাদেশ ১৩.৪ ওভারের মধ্যে ১০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছে। সাইফউদ্দিন বোলিংয়ে ছিলেন সবচেয়ে খরুচে। ১ উইকেট নিলেও ৩ ওভারে তিনি দেন ৩৭ রান। ব্যাটিংয়েও সুবিধা করতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। ৭ বলে ৪ রান করে আউট হন।
১৭তম ওভারে টানা দুই বলে রিশাদ ও তানজিম সাকিবের উইকেট তুলে নেন কুলদীপ যাদব। রিশাদ সীমাকার কাছে ক্যাচ দিলেও সাকিব হন বোল্ড আউট। আউট হতে পারতেন তিনবার জীবন পাওয়া সাইফ হাসানও। তার ক্যাচ ছেড়ে দেন অভিশেক শর্মা।
তিন বল পরে সাইফ ঠিকই আউট হন, বুমরাহর ওভারে অক্ষর প্যাটেল আর ক্যাচ মিস করেননি। ৫১ বলে ৩ চার ও ৫ ছয়ে ৬৯ রান করেন তিনি। শেষ ১৬ বলে দরকার পড়ে ৫৩ রান, কার্যত বাংলাদেশের জয়ের আশা সেখানেই নিভে যায়।
সকাল নিউজ/এসএফ