প্রকাশ পেল ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল। এবার সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। সে হিসেবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।
এ বছর দেশের ৯টি সাধারণ, কারিগরি ও মাদরাসা বোর্ডসহ মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গত বছর (২০২৪) পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সে সে পরিসংখানে এবার পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ঢাকা শিক্ষার্ড মিলনায়তনে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. খন্দোকার এহসানুল কবির আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন।
এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ ছাত্রী। সারাদেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়। তবে এ পরীক্ষায় প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছেন মোট ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন শিক্ষার্থী, পাশের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ।
গত বছর ১১ টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৭.৭৮ শতাংশ। এবার পাশের হার কমেছে ১৮.৯৫ শতাংশ। এ বছর ছাত্রীদের পাশের হার ৬২.৯৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৭ হাজার হাজার ৪৪ জন ছাত্রী। আর ছাত্রদের পাশের হার ৫৪.৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫৩ জন ছাত্র।
গত ১০ বছরের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়- ২০১৬ সালে পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৬৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ২০১৯ সালে ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ২০২০ সালে (অটোপাস) ১০০ শতাংশ, ২০২১ সালে ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, ২০২২ সালে ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। হিসাব অনুযায়ী এ বছর ফলাফলে ধস নেমেছে, যা গত দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সকাল নিউজ/এসএফ


