দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা, তাই সেফ এক্সিট আমার জন্য নয়। আমি এ দেশেই থাকব।
রবিবার (১২ অক্টোবর) সকালে বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, রোগ হওয়ার পর চিকিৎসা নয়, আগে থেকেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। দেশের শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। টাইফয়েডের মতো প্রাণঘাতী রোগ প্রতিরোধে সরকারের এই উদ্যোগ ঐতিহাসিক।’
দেশে প্রথমবারের মতো আজ রবিবার (১২ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম। আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশু-কিশোরকে বিনামূল্যে দেওয়া হবে এই টিকা। জন্মসনদ না থাকলেও শিশুরা এই টিকা পাবে।
বরিশাল বিভাগে প্রায় ২৬ লাখ ১৪ হাজার শিশুকে এ টিকার আওতায় আনা হবে। ১২ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং ১ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে এই টিকা দেওয়া হবে। পথশিশুরাও থাকবে এই কর্মসূচির আওতায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে এই টিকা, যা সরকার পেয়েছে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন সহায়তা সংস্থা গ্যাভির সহযোগিতায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত এই টিকা নেপাল, পাকিস্তানসহ আটটি দেশে সফলভাবে ব্যবহার হয়েছে।
সকাল নিউজ/এসএফ