রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। মধ্যরাতে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাত সোমবার সকালেও অব্যাহত ছিল। সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জমে গেছে হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি।

এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জলাবদ্ধতার কারণে সৃষ্ট যানজটে বিড়ম্বনায় পড়েছে নগরবাসী। বিশেষ করে অফিসগামী ও খেটে খাওয়া মানুষজন পড়েছেন সবচেয়ে বেশি বিপাকে। রাজধানী ঢাকায় সোমবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।।

বৃষ্টির সঙ্গে হয়েছে বজ্রপাতও। সকাল পৌনে ৬টার দিকে বৃষ্টি শুরুর পর মুষলধারে হয় ৭টা পর্যন্ত। এরপর থেমে থেমে সকাল ৮টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়। তবে বৃষ্টি বিচ্ছিন্নভাবে শুরু হয় রবিবার রাত থেকেই। বৃষ্টিপাতের সঙ্গে সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান সংবাদমাম্যকে বলেন, ‘ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আগেই ছিল। সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। ২৪ তারিখের দিকে আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।’

রবিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজধানীতে ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বৃষ্টিপাতের কারণে ঢাকার ধানমন্ডি, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, জিগাতলা, আসাদগেট, নয়া পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কে পানি জমে যায়; এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামীযাত্রীসহ পথে বের হওয়া নগরবাসীদের অনেকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সোমবার সকালের নিয়মিত বুলেটিনে বলেছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় ২৪ সেপ্টেম্বরের দিকে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি ঘণীভূত হতে পারে।

এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এই সময়ে সারাদেশে দিন এবং বাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

ভোর ৬টা পর্যন্ত গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ফেনীতে ১১৬ মিলিমিটার। এছাড়া, নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে ৯০ মিলিমিটার এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ময়মনসিংহে ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বান্দরবান ও রামগতিতে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকাল নিউজ/এসএফ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শিহাব আহমেদ

Sokal News | সকাল নিউজ is a youth-led online news and media portal dedicated to delivering accurate, timely, and impactful news. Driven by a passion for truth and transparency, our mission is “সত্যের আলোয় প্রতিদিন” (“In the light of truth, every day”). Stay connected with us for trustworthy news coverage from a fresh perspective.

প্রধান কার্যালয়:
সকাল নিউজ, ই-১৭/৬, চায়না টাউন, ভিআইপি রোড, নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০

© ২০২৫ সকাল নিউজ. সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত Shihab Group.
Exit mobile version