এশিয়া কাপের সুপার ফোর জয় দিয়ে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ। যেন আবুধাবির প্রতিশোধ দুবাইয়ে নিল বাংলাদেশ। সিংহের দলকে বদ করে এক বল হাতে রেখেই আজ জয় ছিনিয়ে নিলো টাইগাররা।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে দারুণ এই জয়টা এনে দিয়েছেন জোড়া ফিফটি হাঁকানো সাইফ হাসান ও তাওহিদ হৃদয়। সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ পর্বের প্রতিশোধ নিয়েছেন লিটন দাসের দল।
খেলাটা দুবাইয়ে হচ্ছে, নাকি মিরপুর বা সিলেটে, গ্যালারিভরা বাংলাদেশের সমর্থকদের উল্লাসে তা যেন বুঝাই যাচ্ছিল না। তবে ম্যাচের প্রথম পাওয়ারপ্লেতে চুপই থাকতে হয়েছে সেই সমর্থকদের। কারণ টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই লঙ্কান ওপেনার ঝড়ের বেগে তুলে নেয় ৫৩ রান।
শুধু তাই নয়, লঙ্কান ইনিংসের শেষ দিকে যখন দাসুন শানাকা একের পর এক ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন, তখনও একটা ভয় তাড়া করছিলো টাইগার সমর্থকদের। ৩৭ বলে তার ৬৮ রানের ইনিংসটা শেষমেশ লঙ্কানদের জন্য অশির্বাদের মতো হয়ে ওঠে। ব্যাট হাতে ২০ ওভারে শ্রীলঙ্কা তুলে বসেছিল ৭ উইকেটে ১৬৮ রানের পাহাড়।
জবাবে টাইগাররা ব্যাট করতে নেমেই দলীয় ১ রানে ২ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন তানজিদ হাসান। পরবর্তীতে সাইফ হাসান, লিটন দাস জুটি দলকে সামলান এবং একসময় ৫০ রানের জুটি গড়ে।
দলীয় ৬০ রানে লিটন দাস ফিরেন ২৩ রানে। এরপর সাইফ হাসান একাই চার ছক্কার ইনিংস খেলেন এবং আন্তর্জাতিক অর্ধ-শতক পূর্ণ করেন। তাওহিদ হৃদয় ৩৭ বল থেকে ৫৮ রান করে সাইফের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে ১৬৯ রানের লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করেন। ৪৫ বলে ৬১ রান করে আউট হন সাইফ।
রুদ্ধশ্বাস এই ম্যাচে শেষ ওভারের শুরুতেই চার মেরে কাজটা সেরে ফেলছিলেন জাকের আলী। তাতে মনে হচ্ছিল জয়টাও বুঝি সহজেই চলে আসবে। তবে তা এল না। স্কোর সমতায় রেখে জাকের বিদায় নিলেন ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে।
এর এক বল পর শেখ মাহেদিও যখন বিদায় নিলেন, তখন মনে হচ্ছিল ৯ বছর আগের বেঙ্গালুরুর দুঃস্বপ্ন বুঝি ফিরে আসছে দুবাইয়ে। শেষ ১৪ বার যখনই বাংলাদেশ ১৬৫ এর বেশি রান তাড়া করতে নেমেছে, তার ১৩ বারই হেরেছে। সেই একবারের পুনরাবৃত্তি যে এবার হবে, তার গ্যারান্টি কী ছিল?
মনে হচ্ছিল, ম্যাচটা বুঝি হাত ফসকেই বেরিয়ে গেল! তবে না, নাসুম আহমেদ সেটা হতে দেননি। একটা রান নিয়ে নিলেন নিমিষেই। আর তাতেই বাংলাদেশ তুলে নিল ৪ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস এক জয়। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দলের সুপার ফোরের শুরুটাও হলো দুর্দান্তভাবে।
সকাল নিউজ/এসএফ