প্রথমে ব্যাট হাতে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ১৫৪ রান। ইনিংসের সেরা ছিলেন তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান- মাত্র ৩১ বলে ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন তিনি। সাইফ হাসান (৩০) ও তাওহীদ হৃদয় (২৬) জুটিতেও আসে কার্যকর রান।
শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান ৬ বলে ১২ রানের ক্যামিও খেলে দলকে লড়াই করার মতো স্কোর এনে দেন। আফগানিস্তানের হয়ে নূর আহমাদ (২/২৩) ও রশিদ খান (২/২৬) ছিলেন সফল বোলার।
আফগানিস্তান ১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই নড়বড়ে অবস্থায় পড়ে। নাসুম আহমেদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাওয়ারপ্লেতে হারায় দুই উইকেট। এরপরও লড়াই চালান গুরবাজ (৩৫) ও আজমাতুল্লাহ ওমরজাই (৩০)।
শেষ দিকে অধিনায়ক রশিদ খান (২০) ও নূর আহমেদ (১৪) ম্যাচে উত্তেজনা ফেরালেও মুস্তাফিজ-তাসকিনদের সামনে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান নেন ৩ উইকেট (৪-০-২৮-৩)। সমান কার্যকর ছিলেন নাসুম আহমেদ (৪-১-১১-২) ও রিশাদ হোসেন (৪-০-১৮-২)। তাসকিন আহমেদও শেষ মুহূর্তে তুলে নেন ২ উইকেট।
খেলা গড়ায় শেষ ওভার পর্যন্ত। তখনো আফগানিস্তানের দরকার ছিল ২২ রান। তাসকিনের বলে ছক্কা মেরে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান নূর। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ফলে বাংলাদেশও আপাতত টিকে রইল সুপার ফোরের দৌড়ে। অবশ্য, টাইগারদের টিকে থাকা নির্ভর করছে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ফলাফলের উপর।
সকাল নিউজ/এসএফ