দরপত্র আহ্বান ছাড়াই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বাউন্ডারি ওয়াল, বিচারপতি ভবনের দুটি নতুন গেট স্থাপন, বিদ্যমান চারটি গেট সংস্কার ও মজবুত করা এবং ভবনের সীমানাপ্রাচীর সংস্কারসহ ঊর্ধ্বমুখী নিরাপত্তা গ্রিল স্থাপনের প্রায় আড়াই কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই কোটি ৬৬ লাখ টাকার উল্লিখিত এসব কাজ শেষ করার পর দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের গেটের দেওয়াল নির্মাণ ও মাটি ভরাট কাজের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়গুলো গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। দরপত্রের আগে এ ধরনের বিধিবহির্ভূত কাজ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে কমিটি।
তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য রাজউকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. ছাবের আহমেদ এ বিষয়ে সকাল নিউজকে বলেন, ‘উন্মুক্ত দরপত্র আহবান ছাড়া এ ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করার আইনগত কোনো সুযোগ নেই। তারা সেই কাজটাই করেছেন। আমরা তদন্ত করে বের করতে বলেছি, কেন এ ধরনের কাজ তাদের করতে হলো। কেননা এ ধরনের চর্চা একটি বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।’
কমিটির অপর এক সদস্য বলেন, ‘তারা দরপত্র আহ্বান ছাড়া কাজ করেছেন। এটা কোনো যুক্তিতেই বৈধ নয়। ইলেকট্রনিক দরপত্রে (ই-জিপি) সিস্টেমে কাজ কে পাবেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাহলে যে ঠিকাদার কাজটি করল তিনি কীভাবে নিশ্চিত হলেন যে পরবর্তী টেন্ডারে তিনিই কার্যাদেশটি পাবেন। এটাই দুর্নীতি অথবা যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজগুলো করছে, সে প্রকৌশলীর নিকটাত্মীয়। অথবা প্রকৌশলী নিজেই বেনামে ঠিকাদারি করেন, অথবা রাজনৈতিক চাপে দলীয় লোকদের কাজ দিতে হয়েছে। এর মধ্যে যে কোনো একটি রহস্য অবশ্যই আছে। আমরা ফাইন্ডিংস দিয়েছি। এখন ব্যবস্থা নেবে গণপূর্ত বিভাগ।’
গণপূর্ত মেইনটেন্যান্স বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার কবির বলেন, ‘দুদকের সাবেক সচিব খোরশেদা বেগমের অনুরোধপত্র পেয়ে আমরা কাজগুলো করেছি। তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে কাজ করতে হয়েছে। আমরা নিয়ম মেনেই কাজ করেছি।’
সকাল নিউজ/এসএফ