আগামী বছর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরের কারণে ২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা অন্তত তিন মাস পিছিয়ে যেতে পারে।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। সাধারণত প্রতিবছর ফেব্রুয়ারিতে এই পাবলিক পরীক্ষা শুরু হলেও, এবার তা সম্ভব নয় বলে আভাস দিয়েছে শিক্ষাবোর্ডগুলো।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানিয়েছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ এবার দৃশ্যত নেই। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে এপ্রিলের মাঝামাঝি অথবা মে মাসের শুরুতে পরীক্ষা শুরু করার পরিকল্পনা মাথায় রেখে একটি খসড়া সময়সূচি তৈরির কাজ চলছে।’
সাধারণত প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু করার রেওয়াজ থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে করোনা ও বন্যার কারণে সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েছিল। ২০২৪ সালে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ২০২৬ সালে নতুন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জাতীয় নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং শিক্ষক-কর্মকর্তারা নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত থাকেন, তাই ওই সময় পরীক্ষা নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। ২০২৬ সালের মার্চের শেষদিকে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর মতে, রোজা এবং দীর্ঘ ঈদের ছুটির মধ্যে পাবলিক পরীক্ষার মতো বড় আয়োজন করা কঠিন। তাই সব কিছু বিবেচনা করে পরীক্ষা অন্তত তিন মাস পিছিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সকাল নিউজ/এসএফ



