জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো গণভোটে একমত হয়েছে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি। তাদের সম্মতির জন্য গণভোট আয়োজনে সকল রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। যা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার প্রথম বড় পদক্ষেপ।’
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে চতুর্থ দফা সংলাপ শেষে আলী রীয়াজ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিশন সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
ব্রিফিংয়ে কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, ‘এর আগে ১১, ১৪ ও ১৭ সেপ্টেম্বর সংলাপের পর দলগুলোর পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল। তারা আজ গণভোট ও সাংবিধানিক সংস্কার নিয়ে দলগুলোর মধ্যে একটি অভিন্ন অবস্থান তৈরি করেছে।’
আগামী নির্বাচনে গঠিত সংসদের কাঠামো সম্পর্কেও কমিশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এসেছে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংসদের এমন বৈশিষ্ট্য দিতে হবে, যাতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে প্রস্তাবিত সাংবিধানিক সংশোধনগুলো সহজে সম্পন্ন করা যায়। এ নিয়ে দলগুলোও একমত। আগের সংলাপে কয়েকটি দল সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়ার কথা বললেও, তারা এখন বলছে এর প্রয়োজন নাও হতে পারে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর ‘সহনশীলতা’ ও ‘অবস্থান পরিবর্তনের সাহসিকতা’কে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘তারা দলীয় অবস্থান থেকে সরে এসে জাতীয় ঐক্য তৈরিতে ভূমিকা রেখেছেন। কমিশনের অগ্রগতির বিষয়ে রোববার সকালের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকে অবহিত করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা দ্রুততার সঙ্গে সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতির সুপারিশ চূড়ান্তের তাগিদ দিয়েছেন।’
আলী রীয়াজ জানান, কমিশনের বর্ধিত মেয়াদ অর্থাৎ ১৫ অক্টোবরের মধ্যেই সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারকে দেওয়া সম্ভব। আগামী মঙ্গলবার বিকেলে আবারও রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোকে নিয়ে সংলাপ কমিশন। দুই দিনের বিরতিতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও বসবে কমিশন।’
সকাল নিউজ/এসএফ