মা নেই, বাবা আছে। কিন্তু সেই বাবাও থেকেও আর নেই। কারণ মা মারা যাওয়ার পর বাবাও যে খুঁজে নিয়েছেন নতুন ঠিকানা। এখন দাদা-দাদির কাছেই থাকেন ওরা ৪ জন। তবে ৪ জনের ভরণপোষন চালানোসহ মুখের খাবার যোগান দেওয়াও যে কঠিন হয়ে পড়েছে বৃদ্ধ দাদা-দাদির জন্য। এমন টানাপোড়েনের সংসার কে টেনে নিয়ে যাবে? কে ওদের মানুষ করবে? কে হাতে তুলে দিবে খাতা-কলম। ওদেরওতো ভালো কিছু পরতে মন চায়, স্কুলে পড়তে চায়। বুনতে চায় এক রাশ স্বপ্নও। সেই স্বপ্নে পৌছানোর সিড়ি হিসেবে মানবতার ফেরিওয়ালা শিহাব আহমেদকে পেল ৪ এতিম শিশু।
ওই ৪ এতিম শিশুর বাড়ি লালমনিহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া এলাকায়।
খবর শুনে গতকাল বৃহস্পতিবার ওই শিশুদের বাসায় যান শিহাব আহমেদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং শিহাব আহমেদ। সেখানে গিয়ে তাদের শুন্যতার গল্প শুনে তিনি নিজেও কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় তাদের সমস্ত দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।। সময় তাদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন তিনি।
জানা গেছে, উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের মুন্সি পাড়া এলাকার সাফিউল ইসালামের সঙ্গে বিয়ে হয় শাপলা বেগমের। বিয়ের এক বছর পর একটি কল্যা সন্তান জন্ম নেয়। এর দুই বছর পর একসাথে তিনটি সন্তান জন্ম দেন শাপলা, তার মধ্যে দুটি ছেলে একটি মেয়ে। মোট চার সন্তান নিয়ে ভালোই চলছিলো শাপলা ও সাফিউল দম্পতির। কিন্তু তিন সন্তান জন্মের দুই মাস পরে অসুস্থ হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান শাপলা। এরপর ওই শিশুদের বাবা তাদের রেখে ঢাকায় গিয়ে বিয়ে করে সংসার পাতেন। তাদের আর কোনো খোঁজ খবর রাখেন না। চার এতিম শিশুকে দেখভাল করেন সাফিউলের বাবা-মা। চার শিশুকে নিয়ে নানা সমস্যায় দিন কাটান বৃদ্ধ আবেদ আলী ও সাহিদা বেগম। তাদের দুঃখ কষ্টের খবর পেয়ে ৪ ডিসেম্বর অর্থ্যাৎ বৃহস্পতিবার ছুটে যান গরীব দুঃখী মানুষের নেতা, সমাজসেবক ও দ্য অটোম্যান গ্রæপের চেয়ারম্যান এবং লালমনিরহাট এক আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব আহমেদ। এদিন তিনি তাদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেন। এ সময় তাদের গল্প শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। (শিহাবের কান্নার ফুটেজ )
শিশু চারটির দাদা আবেদ আলী বলেন, ওদের বাবা নতুন বিয়ে করেছে। বউ নিয়ে ঢাকায় থাকেন। বাচ্চা ৪টা আর আমাদের কোনো খোঁজ-খবর নেয় না। অনেক কষ্ট করে দিন পার করছি। কেউ আমাদের সাহায্য করে না। তবে শিহাব আমাদের সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। দোয়া করি, আল্লাহ তার মঙ্গল করবে।
এ বিষয়ে সমাজসেবক শিহাব আহমেদ বলেন, আমি ছোট থাকতে আমার মা মরে গেছে, আমি জানি এতিমের কি কষ্ট। একথা বলেই অঝোরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে গরীবের নেতা শিহাব আহমেদ বলেন, আজ থেকে আমি তাদের সমস্ত দায়িত্ব নিলাম। প্রতি মাসে মাসে তাদের সকল খরচের টাকা দেওয়া হবে। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
সকাল নিউজ/ এমএম


