দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বিবিসি বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্যশৈন্যু মারমা।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে এ সংবাদপত্র অফিসে হামলা শুরু হয়। তেজগাঁও থানার ওসি জানিয়েছেন, হামলাকারীদের নিবৃত করার চেষ্টা করছেন তারা।
তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে আছি। এখানে কয়েকশ লোক একত্রিত হয়ে হামলা চালিয়েছেন।’
তবে এ হামলায় কারা অংশ নিয়েছেন তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া লাইভ ভিডিওতে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা, ভাঙচুর করতে দেখা যায়। ভেতরে বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী আটকা পড়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০ টায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুলাই যোদ্ধা ওসমান হাদির মৃত্যু হয়।
তার মৃত্যুর খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে ছাত্র জনতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি, শাহবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন ছাত্র-জনতা।
এ সময় ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা,’ ‘ভারতের আগ্রাসন, ভেঙে দাও-গুড়িয়ে দাও,’ ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ-জিন্দাবাদ’, ‘শহীদের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো, গুলির মুখে কথা বলব’- প্রভূতি স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাদির মৃত্যু খবরে তৎক্ষনাত কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী শাহবাগে একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সেখানে ক্রমেই বাড়ছে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা। এতে শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর মতিঝিলে জুমার নামাজ পড়ে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার পথে দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে হাদিকে বহনকারী অটোরিকশা পল্টন মডেল থানাধীন বক্স কালভার্ট এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলে থাকা দুষ্কৃতকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অপারেশন শেষে এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়।পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি আজ তার মৃত্যু হয়।
সকাল নিউজ/এস এফ


