আমলাতন্ত্র দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করছে মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেছেন, ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যখন তরুণরা রাজনীতি করতে আসছে রাষ্ট্র কত কঠিন এবং কত মানুষের বিপক্ষের শক্তি সেই সম্পর্কে কিন্তু আমাদের একদম সরাসরি অভিজ্ঞতা হচ্ছে এখন।’
তিনি বলেন, ‘দেশে প্রচুর আমলা আছে। প্রচুর সচিব আছে, প্রচুর প্রতিমন্ত্রী আছে। যারা প্রতিনিয়ত কাজ করতেছে আমাদের বিপক্ষে। আমলারা কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থনপুষ্ট। তাদের দিয়ে তারা কাজ করিয়ে নেয়। কিন্তু বর্তমানে যে অন্তর্বর্তী সরকার তারা আমাদের সবার ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছে, তাদের অনেক কিছু করার আছে। কিন্তু তারা কি ঠিক কতটুকু জনগণের জন্য কাজ করতে পারছেন।’
রোববার ‘ভাষানটেক বস্তিবাসী পুনর্বাসন প্রকল্পের বাস্তবায়ন চুক্তি ফ্যাসিস্ট হাসিনা কর্তৃক বাতিল আদেশ প্রত্যাহারসহ সব বস্তি পুনর্বাসন এবং শহীদ পরিবারের কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ ভূমি হুকুল দখল ২০১৭ সালের আইন প্রদানে সরকারের সমস্যা কোথায়’ শীর্ষক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বস্তিবাসী ও শহীদ পরিবার ক্ষতিপূরণ আদায় সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক আব্দুর রহিম।
সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আগে যেমন দেশের জনগণ প্রেসক্লাবের সামনে তাদের দাবির জন্য এসে শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতেন। এখনও তারা এসে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একটার পর একটা ইস্যু তৈরি হয়। কিন্তু জনগণকে কেন রাষ্ট্রের প্রধান উপদেষ্টার কাছে যেতে হবে! সচিব আর আমলাদের তাহলে কাজ কি! তারা জনগণের কথা শুনে তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করলে ইস্যুগুলো দ্রুত শেষ হয়ে যায়। এখানে তো আমলাতন্ত্র ঢুকানোর কিছু নাই। কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করছে আমলাতন্ত্র। দেশের সকল প্রতিষ্ঠান নষ্ট করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে যখন যে সরকার আসে তখন তারাই তাদের পছন্দের লোকদের নিয়োগ দেয়। আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ পাবে সবাই আওয়ামী লীগ। যখন বিএনপি সরকার ছিল জোট সরকার ছিল তখন নিয়োগ পেত সবাই বিএনপি-জামাত। কিন্তু এখন একটা মজা হইছে, এখন চেহারা দেখায় আমাদের কিন্তু নিয়োগ দেয় ওরা।’
এনসিপির এ মুখপাত্র বলেন, ‘এজন্য দেশের সবচেয়ে বড় হাহাকারের জায়গা তৈরি হয়েছে প্রেসক্লাব। এখন প্রেসক্লাবের সামনে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছেন মাদ্রাসার শিক্ষকরা। কিন্তু এসব সমস্যা সমাধান একজন সচিবের জন্য বড় কিছু না। তাদের সঙ্গে সভা করে কাঠামোগত ভাবে সমস্যাগুলো প্রধান উপদেষ্টার নজরে আনা যেত। কিন্তু এখন শিক্ষকদের শহীদ মিনারে প্রেসক্লাবে আন্দোলন করতে হচ্ছে। বস্তিবাসীদের সমস্যার জন্য প্রেসক্লাবে আসতে হচ্ছে।’
এদিকে শিক্ষকরা যখন আন্দোলন করছেন তখন বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
সকাল নিউজ/এসএফ


