গুম খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এডজুটেন্ট মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।
অভিযুক্তদের মধ্যে ১৫ জন বাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি ১৪ জন সেনা সদর দপ্তরে যোগদান করেছেন এবং অপরজনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেনা সদরে যোগ দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা সেনানিবাসে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জেনারেল হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘তিন মামলায় ২৫ সেনা কর্মকর্তাকে আসামি করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন অবসরে রয়েছেন। ১ জন এলপিআরে। বাকি ১৫ জন সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। মামলা এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরে কর্মরত ১৫ জন এবং এলপিআরে থাকা ১ জনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেনা সদরে যোগ দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত ৯ তারিখ আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে বাসা থেকে বের হন মেজর জেনারেল কবির আহমেদ। এরপর থেকে আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি সেনা সদরের জয়েনও করেননি। বাকি ১৪ কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।’
হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তাদের পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হবে কি না সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
সকাল নিউজ/এসএফ