আমরা রাজনীতিবিদেরা জনগণের বিশ্বাস হারিয়েছি মন্তব্য করে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, ‘রাজনীতিবদেরা যা বলেন, তা করেন না। ক্ষমতায় যাওয়ার আগে তারা এক বক্তব্য দেন আর ক্ষমতায় যাওয়ার পর আরেক বক্তব্য ‘
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে মতিউর রহমান আকন্দ এ কথাগুলো বলেন। বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেন মতিউর রহমান আকন্দ।
ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের ফলাফলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে যারা জিতেছেন, তারা দলীয় পরিচয় নিয়ে জিতেছেন কি না, জানি না। তবে যারা হেরে গেছেন, তারা দলীয় পরিচয় নিয়ে নির্বাচন করেছেন। জাকসু নির্বাচনেও ২৫টি পদের মধ্যে ২১টিতে বিজয় লাভ করল একটি সংগঠন। এখানে প্রায় ৬০ হাজার ছাত্রের মতামতের প্রতিফলন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সুতরাং আমরা কি এখনো বসে থাকব? প্রতিটি জরিপে তিন মাস আগে এক রকম ছিল, এখন আরেক রকম। ঐকমত্য কমিশনের বক্তব্য যখন জনগণের কাছে যাবে, আরেকটু হবে।’
সংস্কার বাস্তবায়ন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোকে গো ধরে না থাকার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের অতীতের সব গো ধরা কিছুকে বাদ দিয়ে সাংবিধানিক বৈধতা দিয়ে, অবশ্যই রেফারেন্ডমের আয়োজন করার অতীত রেফারেন্স আছে, সেটার ভিত্তিতে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে জুলাই সনদকে সাংবিধানিক এবং আইনি ভিত্তি দিয়ে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। তাহলে দেশ বাঁচবে, রাজনীতি বাঁচবে এবং রাজনৈতিক দলের নেতারা বাঁচবেন।’
রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া অতীতে কোনো সমস্যার সমাধান হয়নি উল্লেখ করে মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘১৯৯১ সালে আমরা সবাই রাজনৈতিকভাবে একমত হয়েছিলাম। কিন্তু যে ব্যবস্থার ব্যাপারে একমত হয়েছিলাম, সেটা আমরা ইন্ট্রোডিউস করতে পারিনি। ওই সময় জনগণের ঐকমত্যের প্রতি সম্মান দেখিয়ে যদি সেটা প্রথমেই ইন্ট্রোডিউস করে নেওয়া যেত, তাহলে আর এই সংকট আসত না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। এই জোর করে থাকার প্রবণতা বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, তার ভুক্তভোগী বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক নেতা ও দল।’
সকাল নিউজ/এসএফ

