গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে আইসিইউতে ভর্তি করে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
দায়িত্বরত এক চিকিৎসক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। শকে চলে যাওয়ায় দ্রুত সিপিআর দেওয়ার পর সাময়িকভাবে রক্তচাপ কিছুটা স্থিতিশীল হয়। তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোস্তাক আহমেদ জানান, ওসমান হাদিকে যখন জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়, তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। তার মাথার ভেতরে গুলি আছে, কানের পাশে গুলি লেগেছে।
হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো ওসমান হাদি চিকিৎসায় সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ওসমান হাদির সঙ্গে থাকা রাজনৈতিক সহকর্মীরা জানিয়েছেন, নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় মোটরসাইকেলে করে দুই ব্যক্তি এসে অতর্কিতভাবে গুলি করে চলে যায়। এ সময় হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ লাগে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিকেলে ঢামেক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি রয়েছেন সেনাবাহিনীও।
এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশে এমন সহিংস হামলা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।
গত নভেম্বর মাসে দেশি-বিদেশি ৩০টি নম্বর থেকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন হাদি। ১৪ নভেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, তাকে হত্যা, তার বাড়িতে আগুনসহ তার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সকাল নিউজ/এসএফ


