৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। ফলে সারাদেশের বন্ধ রয়েছে টিকাদান সেবা।
সারা দেশের ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ব্যানারে শনিবার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন দেশের ৬৪ জেলার স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা।
নিয়োগবিধি সংশোধন, বেতন বৈষম্য নিরসন ও টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদানসহ ৬ দফা দাবিতে চলমান এ কর্মবিরতির ফলে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার আউটরিচ ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে মধ্যে প্রতিদিন ১৫ হাজার কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত টিকাদান সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যার ফলে টিকা গ্রহণসহ সেবা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন মা ও শিশুরা।
আজ রোববার (৩০ নভেম্বর) সকাল থেকে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দ্বিতীয় দিনে মতো অবস্থান কর্মসূচিতে দেশের ৬৪ জেলা থেকে হাজার হাজার স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা ব্যানার, ফেষ্টুন ও মনিপাতা নিয়ে দলে দলে অংশ নেই শহীদ মিনারে।
শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে তারা এই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন, যা চলবে অনির্দিষ্টকালের জন্য। এ অবস্থান কর্মসূচি অনেকেই হাতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন মনিপতাকা ধরে রেখেছেন, যেখানে দাবি আদায়ের বিভিন্ন ম্লোগার লেখা রয়েছে।
স্বাস্থ্য সহকারীদের নেতারা জানান, তারা বহুবার কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় গিয়েছেন, কিন্তু ফল পাননি। এবার দাবি আদায়ের জিও (প্রজ্ঞাপন) না হওয়া পর্যন্ত শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিতেই থাকবেন তারা। প্রয়োজনে তারা এখানে আত্মহুতি দিবেন। সকলে মনিপাতা দিয়ে দাফন হবেন। কিন্তু, দাবি আদায় না হওয়ার পর্যন্ত শহীদ মিনার ছাড়বেন না। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবে।
তারা আরও বলেন, ‘আমরা প্রান্তিক এ জনগোষ্ঠীকে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্ছিত করে এই কর্মবিরতিতে যেতে চাইনি, কর্মকর্তারা আমাদের এ অবস্থান কর্মবিরতি দিতে বাধ্য করিয়েছেন। আমাদের নিয়োগবিধিসহ বিভিন্ন দাবিতে পর্যায়ক্রমে আবেদন করা সত্ত্বেও এক একবার এক এক অজুহাতে কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে থামিয়ে দিয়েছে।’
নেতারা বলেন, ‘এ পর্যন্ত ৫ বার আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করে তাদের কথা রেখেছি। কিন্তু, কর্মকর্তারা তাদের কথা রাখেনি। তাই, আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, এ কর্মসূচি দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। আমাদের যৌক্তিক ৬ দফা দাবি জিও (প্রজ্ঞাপন) আকারে প্রকাশ না হওয়ার পর্যন্ত আমাদের অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মবিরতি চলবে।’
সকাল নিউজ/এসএফ

