মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় দিয়েছেন।
আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এই রায় ঘোষণা করা হয়। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নানা বিষয়ে বিভক্তি থাকলেও হাসিনার বিচার ইস্যুতে সবাই একাট্টা। ট্রাইব্যুনালের রায়কে স্বাগত জানিয়ে দ্রুত খুনি হাসিনাকে দেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন তারা।
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার যে বিচার হয়েছে তা অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয়, কিন্তু এটি শুধু অতীতের বিচারই নয় বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি শিক্ষা।’
রায় থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিচার অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয়। কিন্তু এটা শুধু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা নয়, সামনের দিনের জন্য উদাহরণ। যাতে কেউ আর ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র না হয়, কেউ যাতে ফ্যাসিস্ট না হয়ে ওঠে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘দিল্লি থেকে অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে আনতে হবে। নিরাপত্তা উপদেষ্টা ভারত সফর করছেন। আশা করব তিনি শেখ হাসিনাকে সাথে নিয়েই দেশে ফিরবেন। আগামী এক মাসের মধ্যে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে হবে।’
এদিকে, রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ভারতকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, গণতন্ত্র, সৎ প্রতিবেশী সুলভ আচরণ দাবি করলে প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের আর বিলম্ব না করে আইনের কাছে সোপর্দ করা।’
সকাল নিউজ/এফএফ

