ধর্ষণের অভিযোগ তুলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘দুর্গাপূজার মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চক্রান্ত হয়েছিল। এ চক্রান্তের পেছনে ফ্যাসিস্টের দোসরদের মদদ ছিল, যা ইতিমধ্যে প্রতীয়মান হয়েছে।’
আজ রোববার (৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এবারের শারদীয় দুর্গাপূজায় সারা দেশে ৭৯৩টি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। অনুসন্ধান চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এসব ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে ধর্মীয় নেতাদেরও জানানো হয়েছে। তারা এ বিষয়ে সহযোগিতা করছেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী একটি দেশে প্রতিমা তৈরির সময় প্রধান উপদেষ্টাকে নিন্দনীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। অন্যদিকে এখানে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানোর কাজটিতে তাদের যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থার কড়া নজরদারি ও দুর্গাপূজার জন্য গঠিত কমিটির সহযোগিতায় কুচক্রীদের চক্রান্ত সরকার নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছে।’
পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনা প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘যে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে এত তুলকালাম, সে ঘটনার মেডিকেল প্রতিবেদনে আলামতই পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও পাহাড়ি-বাঙালির সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা গেছে। এরই মধ্যে পার্বত্য জেলায় অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ১৪৪ ধারাও প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট ও তাদের সহযোগীরা কয়েকটি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ, সাম্প্রদায়িক উসকানি ও সহিংসতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছিল। এ ঘটনায় কিছু ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীর ইন্ধনও ছিল। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। গতবারের মতো এবারও শান্তিপূর্ণভাবে, নির্বিঘ্নে উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা শেষ হয়েছে।’
সকাল নিউজ/এসএফ