ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সীমান্ত পারাপার চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ডিএমপির পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। জানা গেছে, ইতিমধ্যে শেরপুরের নলিতাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে সীমান্ত দিয়ে লোক পারাপার চক্রের ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিএমপি জানায়, ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িত দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। সন্দেহভাজনরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে এ জন্য সীমান্তে তাদের ছবি পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া সন্দেহভাজনদের পাসপোর্ট ব্লক করা হয়েছে।
হামলার সময় ব্যবহার করা মোটরসাইকেলটির মালিককে র্যাব গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। ওই দিন ব্যবহার করা মোটরসাইকেটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইমিগ্রেশন তথ্য অনুযায়ী, সন্দেহভাজনরা এখন পর্যন্ত দেশেই আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে আজ রবিবার প্রেস উইং জানিয়েছে, প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য শুক্রবার রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ ইতিমধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে।
এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে। এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে- এমন আরো কয়েকজন সন্দেহভাজনকে ইতিমধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাজধানীর পল্টনে বক্স কালভার্ট রোড দিয়ে রিকশায় যাওয়ার সময়ে মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করে আততায়ী। তিনি বর্তমানে বেসরকারি একটি হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সকাল নিউজ/এসএফ

