ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন করে গণতন্ত্রের দ্বার উন্মোচন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান শিক্ষার্থী-ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপনারা আপনাদের বিবেক খাটিয়ে যথাযথ নেতৃত্ব বেছে নিন। আপনারা কেউ ভোটাধিকার প্রয়োগ না করে বাসায় বসে থাকবেন না।’
আজ মঙ্গলবার সকালে ডাকসু নির্বাচনের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
আবিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ভোটটা উদযাপন করতে চাই। অভিযোগ করতে চাই না। অনেক দীর্ঘ সময় পর ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন করে গণতন্ত্রের দ্বার উন্মোচন হতে যাচ্ছে, ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ভোটারদের তা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে।’
এদিন উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবার প্রথমবারের মতো হলের বাইরে ৮টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভোট। শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর ভোটগ্রহণ নিশ্চিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
৩৮তম ডাকসু নির্বাচনে ৮টি ভোটকেন্দ্রে রয়েছে ৮ শতাধিক বুথ। মোট ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন ভোটারের মধ্যে ছাত্র ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।
ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে একজন ও এজিএস পদে ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন।
সকাল নিউজ/এসএফ