‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেকের পর রাতারাতি তারকাখ্যাতি পান চিত্রনায়ক সালমান শাহ। প্রথম ছবিতেই অভিনয় দিয়ে দর্শক মনে জায়গা করে নেন। এরপর একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন সালমান।

নব্বইয়ের দশকের ফ্যাশন আইকনে পরিণত হন তিনি। তার চুলের কাট, সানগ্লাস, জিনস-টি-শার্ট- সবই হয়ে উঠেছিল ট্রেন্ড। তরুণ প্রজন্ম তাকে অনুসরণ করত চোখ বন্ধ করে। তার স্বাভাবিক অভিনয়, সহজাত সংলাপ বলার ভঙ্গি, পর্দায় রোমান্টিক আবেগ ফুটিয়ে তোলার দক্ষতা বদলে দিয়েছিল ঢালিউডের চিত্র।

কিন্তু ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৫ বছর বয়সে অগণিত ভক্ত-দর্শকদের শোকে ভাসিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা। মৃত্যুর ২৯ বছর পার হলেও প্রশ্ন থেকে গেছে- আত্মহত্যা নাকি হত্যা?

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনে সালমান শাহর বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করেন সালমান শাহর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।

চিত্রনায়ক সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী বরাবরই বলে আসছেন, তার চিত্রনায়ক ছেলে আত্মহত্যা করেনি। পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করা হয়েছে। অন্যদিকে তৎকালীন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সাবেক প্রধান বনজ কুমার মজুমদার জানিয়েছিলেন, ‘সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছিলেন, তাঁকে খুন করা হয়নি।’

দুই যুগ ধরে আদালতে ঝুলে থাকা মামলার প্রথমে তদন্তভার পায় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), এরপর নানা সংস্থা ঘুরে ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার রায় না হওয়ায় সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন, ২৯ বছরেও সেই জট এখনো খোলেনি। মৃত্যুর ২৬ বছর পরও যেন সালমানের মৃত্যুর রহস্য কাটছে না। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় সালমানের হঠাৎ মৃত্যুকে কেউ আত্মহত্যা, কেউ হত্যা বলেছে।

২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সালমানের জন্মদিন উপলক্ষে দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয় সালমানের সাবেক স্ত্রী সামিরার। সেখানে সামিরা জোর দিয়ে জানিয়েছেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। শুধু তাই নয়, এর আগেও তিনবার তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।

সাবেক স্বামী সালমান শাহর মৃত্যুর প্রসঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন জীবিত থাকাকালীন তার স্ত্রী সামিরা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সামিরা বলেছেন, ‘আত্মহত্যা যারা করে, তারা তো কিছু বলে করে না। এখন নীলা চৌধুরী বারবার বলেন, সামিরাকে কেন রিমান্ডে নেওয়া হয় না। একটা বাসায় একটা বাচ্চা যখন আত্মহত্যা করে, সে বাচ্চার মা–বাবাকে কি আমরা উঠিয়ে নিয়ে চলে যাই? তাহলে আমাকে কেন উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে? ইট ইজ সুইসাইড।’

সকাল নিউজ/এসএফ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শিহাব আহমেদ

Sokal News | সকাল নিউজ is a youth-led online news and media portal dedicated to delivering accurate, timely, and impactful news. Driven by a passion for truth and transparency, our mission is “সত্যের আলোয় প্রতিদিন” (“In the light of truth, every day”). Stay connected with us for trustworthy news coverage from a fresh perspective.

প্রধান কার্যালয়:
সকাল নিউজ, ই-১৭/৬, চায়না টাউন, ভিআইপি রোড, নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০

© ২০২৫ সকাল নিউজ. সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত Shihab Group.
Exit mobile version