আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইনে কারোর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র গৃহীত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার যোগ্যতা হারাবেন।
একইভাবে তিনি স্থানীয় সরকার পরিষদ বা প্রতিষ্ঠানের সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক পদে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকারও অযোগ্য হবেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদ বিভাগের ৪১তম সভায় আইন ও বিচার বিভাগের ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (তৃতীয় সংশোধনী) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে বিদ্যুৎ বিভাগের ‘বেসরকারি অংশগ্রহণে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন/বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা, ২০২৫’, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং নীতিমালা, ২০২৫-এর অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩-এ সেকশন ২০ (সি) যুক্ত করা হয়েছে। নতুন সংযোজন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের সেকশন ৯(১)-এর অধীনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য বা স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচিত পদে প্রার্থী বা বহাল থাকার যোগ্য থাকবেন না।’
তিনি আরও জানান, এ ধারা অনুসারে ওই ব্যক্তি প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ার কিংবা অন্য কোনো সরকারি অফিসে অধিষ্ঠিত হওয়ারও অযোগ্য হবেন।
সকাল নিউজ/এসএফ