‘প্রধান উপদেষ্টা অবাধ নির্বাচন হবে বলেছেন। আমরা উনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়েছি কিন্তু কার্যকারিতার বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছি’ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। লন্ডনে গিয়ে তারিখ ঘোষণার ঘটনায় নিরপেক্ষতার প্রশ্ন রয়েছে। জুলাই ঘোষণা সব দলের সঙ্গে আলোচনায় হয়নি। এতে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হয়নি।’
রবিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে চলমান পরিস্থিতি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিষয়ে যেমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধেও সেভাবে নেওয়া যেতে পারে বলেও প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে। সুন্দর পরিবেশে দীর্ঘ এক ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ৩টি বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। প্রথম হলো কিছু বিষয় সংস্কার করা হবে। চার দৃশ্যমান করা হবে। বিশ্বমানের আনন্দঘন নির্বাচন হবে।’
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘এক বছরের অধিক সময় ধরে ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা হয়েছে। সেখানে কিছু ভালো বিষয় আছে। বেশ কিছু মেজর ইস্যুতে একমত হয়েছি আবার কিছু সিদ্ধান্তে নোট অব ডিসেন্ট আছে। সব সময় দুই-তৃতীয়াংশ দল একমত হয়েছে। নোট অব ডিসেন্ট দিতে পারে। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয় না। যেগুলোতে নোট অব ডিসেন্টেও একমত হয়েছি সেগুলো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।’
তিনি বলেন, ‘কিছু দল ঐকমত্য বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছে। তারা বলছেন সংস্কার আগামী নির্বাচিত সরকার করবে। তারাই যদি করে তাহলে এক বছর সময় নষ্ট করলাম কেন? জুলাইয়ের পর অনেক পরিবর্তন চেয়েছিলাম সেটা যেন আইনি প্রক্রিয়ায় হয়। এটা না হলে জুলাইয়ের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে। চার্টারের ৩টি বিষয় আছে। আমরা চার্টারের বাস্তবায়ন চাই। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন নির্বাচনের আগেই কিছুটা বিচার হয়ে যাবে আমরা একমত হয়েছি।’
পিআর পদ্ধতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে ৩১ দলের মধ্যে ২৫ দল একমত হয়েছে। কেউ উচ্চকক্ষে পিআর চায়। আর আমরা সব জায়গাতেই চাই। গত নির্বাচনে ভোট ডাকাতি এসব অভিজ্ঞতায় আমরা মনে করি নতুন সিস্টেমে নির্বাচন দরকার। না হয় আবার এমন হবে। আমরা বলেছি এই বিষয়ে নতুন প্রস্তাব আনার বিষয়ে ইসিকে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
সকাল নিউজ/এসএফ

