প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, টেলিযোগাযোগ সেবার মান বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ফোরজির সর্বনিম্ন গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ এমবিপিএস।
রোববার (৩১ আগস্ট) ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তার মতে, আগের কোয়ালিটি অব সার্ভিস বেঞ্চমার্ক খুব বাজে ছিল, যা সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত করা হয়েছে। শিগগির হালনাগাদ এ নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফয়েজ আহমদ লিখেছেন, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ সেবা নিম্নমানের বলে ঘোষণা দেওয়ার পর আমরা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে একটি নতুন কোয়ালিটি অব সার্ভিস বেঞ্চমার্ক করেছি। এটি গত সপ্তাহের বিটিআরসি কমিশন মিটিংয়ে মোবাইল অপারেটর, এনটটিএন এবং আইএসপি সেবাদাতাদের জন্য পাস হয়েছে।
তিনি লিখেছেন, নতুন এই কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) নীতিমালা মতে, ফোরজির সর্বনিম্ন গতি ১০ এমবিপিএস নির্ধারণ করা হয়েছে। তদারকি বাড়াতে বিটিআরসি প্রতি মাসে আগের মাসের নেটওয়ার্ক পারফরমেন্স এবং হেলথ চেক করবে। এটি আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই কার্যকর হবে।
বাংলাদেশে এই চর্চাটা নতুন উল্লেখ করে বিশেষ সহকারী লিখেছেন, ‘টেলিকম সেবার মান নিশ্চিত করতে কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) নীতিমালা একটা আন্তর্জাতিক চর্চা। এতে ড্রাইভ টেস্ট মানদণ্ডে অপারেটরদের ফোরজি সেবার সর্বনিম্ন গতি ১০ এমবিপিএস থাকতে হবে। কমানো হয়েছে কলড্রপের সর্বনিম্ন হার। এ ছাড়া বাড়ানো হয়েছে সেবার বিভিন্ন মানদণ্ড সূচক। এসব মানদণ্ডে অপারেটরদের বাধ্যতামূলকভাবে মাসিক প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।’
ফয়েজ আহমদ আরও লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ফোরজিতে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ করেনি। ফলে সেবার মান নিম্নমুখী। এর উত্তরণে নতুন লাইসেন্স পলিসিতেও “লাইসেন্স অব্লিগেশন” এবং কোয়ালিটি অব সার্ভিসের কথা বলা হয়েছে। এই কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) বেঞ্চমার্ক টেলিযোগাযোগ খাতে নাগরিকদের মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে সেবাদাতাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে সেবার মানোন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
ফয়েজ আহমদের মতে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে দুর্বল এলাকাগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে। বাধ্যতামূলক মাসিক রিপোর্টিংয়ের ফলে অপারেটরদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হবে সেবার মান বজায় রাখতে, বিশেষ করে গ্রামীণ ও শহরতলির এলাকায় যেখানে এখনো দুর্বল নেটওয়ার্ক ও ঘনঘন কল ড্রপ নিয়ে অভিযোগ বেশি।
সকাল নিউজ/এসএফ


