পাবনার ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুরছানাকে বস্তাবন্দী করে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় এক সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর সদরে রহিমপুর গার্লস স্কুলের পাশে একটি বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গ্রেপ্তার ওই নারীর নাম নিশি রহমান (৩৮)। তিনি ঈশ্বরদী ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমানের স্ত্রী।
ঈশ্বরদী থানার ওসি আ স ম আবদুন নূর জানান, কুকুরছানার ঘটনায় করা মামলায় উপজেলা ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমানের স্ত্রী নিশি রহমানকে আসামি করা হয়েছে।
আকলিমা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশ পেলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার তাকে ফোন করে ঘটনাটি অমানবিক বলেছেন। এ ঘটনা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে উল্লেখ করে ব্যবস্থা নিতে বলেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলাটি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় হাসানুর রহমানকে সরকারি কোয়ার্টার ছাড়ার নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রশাসন। তিনি গতকাল বিকেলে কোয়ার্টার ছেড়ে চলে যান।
এ ঘটনায় গতকাল হাসানুল রহমান বলেন, সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তার স্ত্রী ছানাগুলোকে সরিয়ে দিতে বলেছিল। কিন্তু এগুলো যে মারা যাবে, তা ভাবেননি। এ ঘটনায় তিনি লজ্জিত ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
সপ্তাহখানেক আগে হাসনুর রহমানের সরকারি বাসার আঙিনায় একটি মা কুকুর আটটি ছানার জন্ম দেয়। পরে ছানাগুলো নিখোঁজ হয়। সোমবার সকালে কুকুরটিকে পরিষদ চত্বরে ছোটাছুটি করতে ও কাঁদতে দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ছানাগুলোকে পুকুরে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। পরে পুকুর থেকে মৃত ছানাগুলো উদ্ধার করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
সকাল নিউজ/এমএম

