যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ‘ফিলিস্তিন প্রশ্নের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও দুই-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়ন’ বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এ সময় গাজায় ক্ষুধার্তদের একটি ছবি প্রদর্শন করেন তিনি।
ভাষণে এরদোয়ান বলেন, ‘গাজায় যে গণহত্যা চলছে, তাতে ৬৫ হাজার বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। তা নির্মমভাবে অব্যাহত আছে। যার সামান্য বিবেকও আছে, সে কখনোই এ হত্যাযজ্ঞকে মেনে নিতে পারে না, আর এমন গণহত্যার মুখে চুপ করে থাকতে পারে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই-রাষ্ট্র এসব পদক্ষেপ সমাধানের বাস্তবায়ন দ্রুত করবে।’
তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, ‘এখন গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা প্রয়োজন, মানবিক সহায়তা নির্বিঘ্ন প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং ইসরায়েলকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।’
এই সম্মেলনে ফ্রান্সসহ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেয়। ভাষণে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রসহ একদল দেশের ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেন এরদোয়ান।
মঙ্গলবার তিনি জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের সাধারণ সভায় ভাষণ দেন। ভাষণে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বৈশ্বিক শাসন কাঠামো, বিশেষত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ভাষণে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানদের সামনে দাঁড়িয়ে বৈশ্বিক শ্রোতাদের উদ্দেশে নিজেদের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
১৯৫৫ সালে সাধারণ পরিষদের ১০ম অধিবেশন থেকে ব্রাজিল সবসময় প্রথম বক্তা হিসেবে সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য দিয়ে আসছে, শুধু ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সাল ব্যতীত। ব্রাজিলের পর স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্র বক্তব্য রাখে। প্রথম দিনের চতুর্থ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন এরদোয়ান।
রবিবার নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, এ বছরের সাধারণ পরিষদকে আগের অধিবেশনগুলো থেকে যে দিক দিয়ে আলাদা করে তা হলো- অনেক দেশ এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার এসব সিদ্ধান্ত দুই-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নে নতুন গতি আনবে।’
সকাল নিউজ/এসএফ