সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি শক্তিশালী দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটিকে হামাসের নৃশংসতার জন্য একটি পুরস্কার হিসেবে উল্লেখ করে মার্কিন প্রেডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে হামাসকে ‘পুরস্কৃত’ করা। হামাসের মুক্তিপণের দাবির কাছে নতি স্বীকার না করে যারা শান্তি চায়, তাদের সবার একসঙ্গে একটাই বার্তা দেওয়া উচিত- এখনই জিম্মিদের মুক্তি দাও।’
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে মার্কিন প্রেডেন্ট আরো জানান, তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টায় যুক্ত ছিলেন। আলোচনায় অংশ নেওয়া পক্ষগুলোকে ‘অবশ্যই এটি সম্পন্ন করতে হবে’। একই সঙ্গে তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি ও তাৎক্ষণিকভাবে শান্তি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
ট্রাম্প অনেক দিন ধরেই জাতিসংঘের ভবন নিয়ে অভিযোগ করে আসছেন। ২০১২ সালে তিনি বলেছিলেন, মঞ্চের কাছে থাকা ‘সস্তা’ টাইলস তাকে ‘বিরক্ত’ করছে। এক পর্যায়ে তিনি ভবনটি সংস্কারে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন যা জাতিসংঘ প্রত্যাখ্যান করেছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে জাতিসংঘ ‘জানে না সে কী চায়’।
ট্রাম্প জাতিসংঘের সমালোচনা করে বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে তিনি দুইটি জিনিসই পেয়েছেন- একটা খারাপ এসকেলেটর আর একটা নষ্ট টেলিপ্রম্পটার।
মার্কিন প্রেডেন্ট বলেন, তিনি যেসব যুদ্ধ ‘সমাধান’ করেছেন সেগুলো শেষ করার আলোচনায় জাতিসংঘ তার পাশে ছিল না। তিনি সাধারণ পরিষদকে প্রশ্ন করেন, ‘জাতিসংঘের উদ্দেশ্য কী? এটি তার সম্ভাবনার কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারেনি… এটা ফাঁকা বুলি, আর ফাঁকা বুলি দিয়ে যুদ্ধ শেষ হয় না।’
তিনি আরও দাবি করেন, দ্বিতীয় মেয়াদের এখন পর্যন্ত সাতটি যুদ্ধ তিনি শেষ করেছেন, যেগুলো নিয়ে অনেকে বলেছিল এগুলো ‘কখনো শেষ করা যাবে না।’
তিনি যে সংঘাতগুলো তালিকাভুক্ত করেন সেগুলো হলো, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড; কসোভো ও সার্বিয়া; পাকিস্তান ও ভারত; ইসরায়েল ও ইরান; মিসর ও ইথিওপিয়া; আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান; এবং কঙ্গো ও রুয়ান্ডার মধ্যে ‘নৃশংস সহিংস যুদ্ধ’।
তিনি বলেন, ‘অন্য কোনো প্রেসিডেন্ট কখনই এর কাছাকাছিও কিছু করতে পারেননি। জাতিসংঘ এদের মধ্যে কোনো ক্ষেত্রেই ‘সাহায্য করার চেষ্টা পর্যন্ত করেনি।’
এছাড়াও এই অধিবেশনের আসন বিন্যাসও ইঙ্গিত দেয়, বর্তমান বিশ্ব গত বছরের তুলনায় অনেক ভিন্ন। মার্কো রুবিও এবং নতুন জাতিসংঘ রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজের মাত্র দুই সারি ওপরে বসে আছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারাআ। তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি একসময় জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলেন। এমনকি তাকে এখনও কিছু জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার আওতায় রেখেছে।
সকাল নিউজ/এসএফ