তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের একটি কারিগরি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসছে। গতকাল চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন পররাষণ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, এই প্রকল্প চীনের ঋণে হবে। তবে কত টাকা ব্যয় হবে সেই বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৫৫ কোটি ডলার ঋণ চাওয়া হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫ কোটি ডলার। বাকি ২০ কোটি ডলার আসবে সরকারি অর্থায়ন থেকে। ২০২৬ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে ২০২৯ সালে শেষ হবে।
কারিগরি দিক ও সম্ভাব্যতার সার্বিক বিচার বিশ্লেষণের পর ঋণের পরিমাণ পরিবর্তন হতে পারে। বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তী সরকার তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে চীনের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে আগ্রহী। এটা বিভিন্ন সময়ে সরকারের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে। চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ নেগোশিয়েশনের কাজ করছে।
পররাষ্টর মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষের দিকে তিস্তা প্রকল্প যাচাইয়ে চীনের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে।
এদিকে চীনের বৈশ্বিক সুশাসন উদ্যেগে (জিএসআই) যোগ দিতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন। এই বিষয়ে বাংলাদেশ নোট নিয়েছে। গত মার্চে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের পর তিস্তা প্রকল্প এগিয়ে নিতে কাজ শুরু করে অন্তর্র্বতী সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা কমিশনে মে মাসে একটি চিঠি দেয়। তাতে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের ঋণ নেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
সকাল নিউজ /এসএফ