৭৩ বছর বয়সী সুশীলা কারকি ছিলেন নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি। এই পদে দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহিষ্ণুতার’ জন্য আলোচিত ছিলেন তিনি।
তরুণদের বিক্ষোভের মুখে গত মঙ্গলবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি পদত্যাগ করেন। সরকার ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছিলেন তরুণেরা। তারা দেশে জেঁকে বসা দুর্নীতির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
প্রথম দিনের সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হওয়ার পরদিন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন। তবে এর পরও দেশটিতে সহিংসতা চলতে থাকে। ২০০৮ সালে গৃহযুদ্ধ ও রাজতন্ত্রের অবসানের পর নেপালে এই কয়েক দিনে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ঘটে, যাতে অন্তত ৫১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পরদিন উত্তপ্ত নেপালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের চেষ্টা চলে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাদের কয়েক দফা বৈঠকের পর নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুশীলা কারকির বিষয়ে মতৈক্য হয়।
বিক্ষোভকারীদের একজন প্রতিনিধি বলেছেন, সুশীলা ক্ষমতা গ্রহণ করে বর্তমান পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করবেন। নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করবেন তিনি।
এর আগে একজন সংবিধানবিশেষজ্ঞ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছিলেন, ‘জেন জি-রা তাঁকে (সুশীলা) চায়। এটা আজই ঘটবে।’ বিক্ষোভকারীদের বেশির ভাগেরই বয়স জেন-জি প্রজন্মের হওয়ায় নামটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ১৯৯৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যাদের জন্ম, তাদের জেনারেশন জেড বা জেন-জি বলা হয়।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকির কোনো রাজনৈতিক অতীত নেই। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত নেপালের প্রধান বিচারপতি ছিলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি হিসেবে তার দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আদালতের অবস্থান আলোচনায় আসে। এই অবস্থানের প্রশংসা ও বিরোধিতা দুটোই সে সময় হয়েছিল।
সকাল নিউজ/এসএফ