জুলাই অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা এখন নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন। এ নিয়ে দুদেশের সম্পর্ক বেশ টানাপোড়েনের মধ্যে যাচ্ছে। ভারতে হাসিনার থাকার ব্যাপারে তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানালেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এন এনডিটিভির সিইও ও এডিটর ইন চিফ রাহুল কানওয়ালের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। এদিন ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে এইচটি লিডারশিপ সামিটে রাহুল কানওয়াল জানতে চান, শেখ হাসিনা কি যতদিন খুশি ভারতে অবস্থান করতে পারবেন?
জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘এটা তো ভিন্ন বিষয়, তাই না? তিনি একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন এবং আমার মনে হয় সেই পরিস্থিতি স্পষ্টভাবেই এখন তার ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলছে। তবে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে।’
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় ঢাকা-নয়াদিল্লির সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন। প্রতিবেশী বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে ভারতের অবস্থানের ওপর জোর দেন তিনি।
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমরা যা শুনেছি তা হলো; বাংলাদেশে, বিশেষ করে যারা এখন ক্ষমতায়, তাদের আগের নির্বাচনগুলো কীভাবে হয়েছে; সে বিষয়ে আপত্তি ছিল। এখন, যদি সমস্যাটি নির্বাচন নিয়ে হয়, তাহলে প্রথম কাজ হওয়া উচিত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা।’’
ভারত-বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমাদের দৃষ্টিতে, আমরা বাংলাদেশের মঙ্গলই চাই। একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমরা দেখতে চাই, বাংলাদেশে জনগণের ইচ্ছা যেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। আমি বেশ আশাবাদী, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে যে সরকারই আসুক না কেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে তাদের একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও পরিপক্ক দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে এবং আশা করি পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
সকাল নিউজ/এসএফ


