দিনভর উৎসবমুখরতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন। আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। গণনা শেষে রাতেই প্রকাশ করা হবে ফলাফল।
এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন এবং ছাত্র ২০ হাজার ৯১৫ জন। শিক্ষার্থীরা ওএমআর শিটে পছন্দের প্রার্থীর পাশে ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট প্রদান করেন। একজন ভোটার কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য পাঁচটি পাতায় এবং হল সংসদের জন্য একটি পাতায় ভোট দেন— অর্থাৎ প্রত্যেক ভোটারের জন্য ছয়টি পাতার ব্যালট গণনা করতে হবে।
ভোট গণনার কাজটি সহজ করতে নিয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা। মোট ১৪টি মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে ভোট গোনার জন্য। এসব মেশিনের মধ্যে কিছু মেশিন প্রতি ঘণ্টায় ৫ হাজার পৃষ্ঠা এবং কিছু মেশিন ৮ হাজার পৃষ্ঠা স্ক্যান করতে পারে। এতে করে এক একটি মেশিন ঘণ্টায় গড়ে ৮০০ থেকে ১৩০০ জন ভোটারের ব্যালট গুনতে পারবে।
চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, সবগুলো মেশিন একসঙ্গে কাজ করলে এক ঘণ্টায় প্রায় ১২ হাজার ভোটারের ভোট গণনা করা সম্ভব। যদি ৩০ হাজারের মতো ভোট পড়ে, তাহলে বড়জোর তিন ঘণ্টার মধ্যেই ফলাফল ঘোষণা করা যাবে। তবে কোথাও যদি পুনরায় গণনার দরকার হয়, তাহলে কিছুটা সময় বেশি লাগতে পারে।
নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি ও হল সংসদের ১৩টি পদে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী লড়ছেন। এর মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ৪০৯ জন এবং নারী প্রার্থী ৬২ জন। সবার প্রত্যাশা, এবার শিক্ষার্থীরা আগ্রহ নিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসবেন এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সহ-সভাপতি (ভিপি) ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ১৭ জন। কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন।
ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক ১১ জন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক ১৫ জন। এছাড়া ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ২১৭ জন।
সকাল নিউজ/এসএফ