সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গণঅধিকার পরিষদের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার না করলে দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবারও অগ্নিসংযোগ, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ দাবি জানান তিনি।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে শামীম হায়দার বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ আমাদের অফিসে আগুন দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেছে। আমরা সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গণঅধিকার পরিষদের নিষেধাজ্ঞা চাই। আমরা মনে করে এই দলটি রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। আমাদের যে আরপিও আছে, সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন থেকে এ দলকে ব্যান করা উচিত।’
সরকারের সমালোচনা করে জাপার সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, ‘বিগত সময়ে আমরা দেখেছি, যারা মব করতে এসেছিল, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যারা মবের ভিকটিম হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে, তাদের অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। আমরা এ অবস্থার পরিত্রাণ চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্র ও সরকারে চিড় ধরে গেছে। সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কামনা করি এবং দোষী ব্যক্তিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না করলে আমরা দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।’
জাপা অফিসে আগে দুবার হামলা হয়েছে। সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত হলে আজ এ হামলা হতো কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শামীম হায়দার বলেন, ‘তখন তাৎক্ষণিক যদি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা হতো, তাহলে কখনোই এ হামলা হতো না। সরকার এ বিষয়ে উদাসীন।’
তিনি বলেন, ‘সরকার চেয়ে চেয়ে দেখছে, আর মবতন্ত্রের রাজত্ব চলছে, মবকারীরা মব করে যাচ্ছে। সরকারের চেয়ে চেয়ে দেখার কারণে আজ মানুষের জীবন, সম্পত্তি হুমকির মুখে পড়েছে। এ নিয়ে সরকার দায় এড়াতে পারবে না।’
এ ঘটনায় কাকে দায়ী করছেন কাকে, কারা হমলা করেছে, এ প্রশ্নে জবাবে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার বলেন, আমরা দেখেছি গণঅধিকার পরিষদের ব্যানারে এই হামলা হয়েছে। অন্য দল থাকলেও থাকতে পারে। তাদের নিবৃত করতে পুলিশের ভূমিকা যথেষ্ট ছিল। তবে পুলিশের জলকামান আসতে আসতেই তারা আগুন দিয়ে ফেলেছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী থাকলে হয়তোবা তারা সাথেসাথে প্রতিহত করতে পারত।’
সকাল নিউজ/এসএফ