প্রতি বছরের মতো এবারও ঘোষণা করা হয়েছে ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার-২০২৫। প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত ‘ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার’ ২০২৫ পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে রায়হান রাফী চলচ্চিত্র সাংবাদিকতায় আলীমুজ্জমামান।
বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’ এর সম্পাদক ও বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রেসিডেন্ট-এর নির্মাতা প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে গত ২১ বছর ধরে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আগামী ২৬ অক্টোবর ফজলুল হক-এর প্রয়াণ দিবসে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুরস্কারটি চলচ্চিত্র ও সাংবাদিকতা জগতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রদানের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করে আসছে।
এই পুরস্কার ভবিষ্যতের প্রতিভা উদ্দীপ্ত করতে এবং চলচ্চিত্র ও সাংবাদিকতার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজকরা। ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার কমিটি সাধারণ সম্পাদক আমীরুল ইসলাম প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
পুরস্কার হিসেবে রয়েছে- অর্থমূল্য, সম্মাননা পত্র ও ক্রেস্ট। প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে ২০০৪ সাল থেকে এই পুরস্কার প্রবর্তন করেন বিশিষ্ট কথাশিল্পী রাবেয়া খাতুন।
ইতিমধ্যে ‘ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার’ পেয়েছেন- সাইদুল আনাম টুটুল এবং ফজল শাহাবুদ্দিন (২০০৪), চাষী নজরুল ইসলাম ও আহমদ জামান চৌধুরী (২০০৫), হুমায়ূন আহমেদ ও রফিকুজ্জামান (২০০৬), সুভাষ দত্ত ও হীরেন দে (২০০৭), গোলাম রাব্বানী বিপ্লব ও আবদুর রহমান (২০০৮), আমজাদ হোসেন ও সৈয়দ শামসুল হক (২০০৯), মোরশেদুল ইসলাম ও চিন্ময় মুৎসুদ্দী (২০১০), ই আর খান ও অনুপম হায়াৎ (২০১১), নাসিরউদ্দিন ইউসুফ ও গোলাম সারোয়ার (২০১২)।
এ ছাড়াও ২০১৩ সালে তাৎপর্যবহ এ পরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন রাজ্জাক ও রেজানুর রহমান, সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী ও আরেফিন বাদল (২০১৪), মাসুদ পারভেজ ও শহীদুল হক খান (২০১৫), আজিজুর রহমান ও মোস্তফা জব্বার (২০১৬), আবদুল লতিফ বাচ্চু ও নরেশ ভুঁইয়া (২০১৭), মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও শফিউজ্জামান খান লোদী (২০১৮), কোহিনূর আখতার সুচন্দা ও রাফি হোসেন (২০১৯), আলমগীর ও দীপেন (২০২০) এবং কাজী হায়াত ও মাজহারুল ইসলাম (২০২১), দেলোয়ার জাহান ঝন্টু এবং আবদুল্লাহ জেয়াদ (২০২২) এবং ছটকু আহমেদ এবং ইমরুল শাহেদ (২০২৩), এবং সবশেষে গেল বছর এই পুরস্কার পেয়েছেন গুণী নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম এবং চলচ্চিত্র সাংবাদিকতায় আলাউদ্দীন মাজিদ।
সকাল নিউজ/এসএফ