কাতারে হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরোপুরি ন্যায়সংগত বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যারা ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে হামাসের সেসব সিনিয়র নেতাকে লক্ষ্য করেই কাতারে এ হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় তিনি রোমাঞ্চিত নন; বরং হামাসকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে ইসরায়েলের হামলার পরিধি বৃদ্ধির ফলে আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়বে বলে মনে করেন ট্রাম্প। তথ্যসূত্র- বিবিসি।
ওই হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। তবে আলোচনার টেবিলে থাকা কোনো নেতাকে তারা হত্যা করতে পারেনি। কাতার এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে বলেছে, এটি কাপুরুষোচিত ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। কাতার যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ। এখানে আমেরিকার সবচেয়ে বড় বিমানঘাঁটি রয়েছে।
ট্রাম্পকে কাতারে হামলার বিষয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমি পুরো ঘটনা নিয়ে রোমাঞ্চিত নই। এটি কোনো ভালো পরিস্থিতি নয়। তবে আমি বলতে চাই, আমরা জিম্মিদের ফেরত চাই। কাতারে যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আমরা খুশি নই।’
হামাস বলেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য দোহায় একটি আবাসিক ভবনে উপস্থিত হওয়ার পরই এটি লক্ষ্য করে একটি সিরিজ হামলা চালায় ইসরায়েল।
কাতারে হামলায় ১৫টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ১০টি গোলা নিক্ষেপ করা হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি মিডিয়া। এর আগে গত সোমবার জেরুজালেমের একটি বাস স্টেশনে বন্দুকধারী দুই ফিলিস্তিনির হামলায় ছয় ইসরায়েলি নিহত এবং গাজা শহরে ইসরায়েল সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্পে হামলায় চারজন সৈন্য নিহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ সেনাবাহিনীকে একটি সম্ভাব্য হামলা প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন
এর জের ধরেই গতকাল কাতারের রাজধানী দোহায় একটি আবাসিক ভবনকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। এ হামলার পর বিশ্বের অনেক দেশ নিন্দা জানিয়েছে।
সকাল নিউজ/এসএফ