সন্ত্রাস বিরোধ আইনে হওয়া মামলায় জামিনে কারামুক্তির পর আদালতে হাজিরা দিলেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। এ সময় তার সঙ্গে ছোট ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীও আদালতে আসেন।
রোববার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালতে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই তৌফিক হাসান আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।
এজন্য আগামি ৩০ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই জিন্নাত আলী। এদিকে, এদিন লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে হাজিরা দেওয়ার আবেদন করেন তার আইনজীবী রেজাউল করিম হিরণ।
তিনি বলেন, ‘আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ, তার বয়স ৮৬ বছর। তিনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার যে উপাদান থাকা দরকার তা রয়েছে। আবেদন মঞ্জুরের প্রার্থণা করছি। শুনানি নিয়ে আদালত আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে আইনজীবী রেজাউল করিম হিরণ সাংবাদিকদের বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আবেদন করি। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন। লতিফ সিদ্দিকী বয়স্ক, অসুস্থ মানুষ। তাকে আর আদালতে আসতে হবে না।’
এর আগে, গত ২৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির একটি প্রোগ্রাম থেকে লতিফ সিদ্দিকী, সাংবাদিক পান্নাসহ ১৬ জনকে আটক করা হয়। পরদিন শাহবাগ থানার সন্ত্রাস বিরোধ আইনের গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৬ নভেম্বর বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাকে অন্তর্বর্তী জামিন দেন। জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। তবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ তাদের জামিন বহাল রাখেন। পরে তারা কারামুক্ত হন।
সকাল নিউজ/এসএফ

