রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহের সামনের সড়ক থেকে প্লাস্টিকের ড্রামভর্তি একজন পুরুষের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে একটি নীল রঙের প্লাস্টিকের ড্রাম দেখতে পায় পুলিশ। সন্দেহ হলে ড্রামটি খুলে ভেতরে একজন পুরুষের মাথাসহ কয়েকটি টুকরো করা মরদেহ পাওয়া যায়।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাইনুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে আছি। ড্রাম থেকে একজন পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘জাতীয় ঈদগাহ মাঠের পাশের পানির পাম্প সংলগ্ন ফুটপাতে পাওয়া দুটি ড্রামের একটিতে লাশ, অন্যটিতে চাল পাওয়া গেছে। লাশটি মাথাসহ উদ্ধার হয়েছে। এটি অসংখ্য টুকরা অবস্থায় রয়েছে, এখনও গণনা করা হয়নি।’
তিনি আরও জানান, আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, দুপুর দুইটার কিছু পরে নীল রঙের দুটি ড্রাম একটি ভ্যান গাড়িতে করে হাইকোর্টের প্রধান ফটকের কয়েক গজ দূরে একটি গাছের গোড়ায় রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।
কমপক্ষে চার ঘণ্টা পর ড্রাম দুটি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে প্রথমে একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত লোক চেঁচামেচি করে। এরপর হাইকোর্টের প্রধান ফটকে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ড্রাম দুটি খুলে প্রথমে চাল দেখতে পান। চাল সরিয়ে নিলে ভেতরে লুঙ্গি ও গামছা পাওয়া যায়। এরপরের স্তরে পলিথিনে মোড়ানো খণ্ডিত মানবদেহ পাওয়া যায়।
সিআইডি’র ক্রাইম সিন ইউনিটের একজন সদস্য জানান, দেহটিকে কমপক্ষে ৫০টি টুকরো করা হয়েছে। হাত-পা, মাথা সবই বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৭টার দিকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত করে। সিআইডির টিম মরদেহের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে পরিচয় বের করে।
সিআইডি প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে নিহত পুরুষের নাম মো. আশরাফুল হক (৪২)। তার বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জের শ্যামপুরে। তার বাবার নাম মো. আব্দুর রশিদ।
সকাল নিউজ/এসএফ

