জামায়াত এবং শিবিরের অন্যদলে নিজেদের কর্মী যুক্ত করার রাজনীতির নীতি বন্ধ করতে হবে জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন অভিযোগ করেছেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির নিজেদের কর্মী অন্য দলে যুক্ত করার কারণে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খাঁন এ অভিযোগ করেন।
ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘জামায়াত এবং শিবিরের অন্যদলে নিজেদের কর্মী যুক্ত করার রাজনীতির নীতি বন্ধ করতে হবে। সাম্প্রতিককালে এই নীতির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি। তারুণ্যের এই দুই দলের পাশাপাশি বিভিন্ন দলে তাদের নিজেদের লোকও যুক্ত রেখে সেই দলগুলোকেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, দলের মধ্যে সন্দেহ- সংশয়ও বাড়িয়েছে।’
এতে রাশেদ খাঁন বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনেও পরিচয় অপ্রকাশ্য রেখে যুক্ত করার নীতির কারণে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদলে যুক্ত করার এই নীতি থেকে বাম-ডান-মধ্যপন্থি কেউই ছাড় পায়নি। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জামায়াত-শিবির তার ইতিহাসের সবচেয়ে সেরাসময় উপভোগ করছে।’
তিনি জানান, ‘তারা যদি বাংলাদেশে মধ্যপন্থি ধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চায়, সেটাকেও সাধুবাদ জানাব। কিন্তু তাদের পুরো রাজনীতির নীতি হতে হবে প্রকাশ্য নীতি। অন্যদলে যুক্ত হয়ে সেই দলে প্রভাব বিস্তারের রাজনীতি পুরোপুরি বন্ধ না করলে পুরো দেশের সিস্টেম কলাপস করবে এবং বিরাজনীতিকরণ সৃষ্টি হবে।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এতে জামায়াত-শিবিরও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইসলামকে রাজনীতিতে হাজির করার ক্ষেত্রেও তাদের সচেতন হওয়া দরকার। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি মধ্যপন্থি ধারায় চলছে। এই ধারার সাথে ইসলামকে যুক্ত করলে ইসলামিক দল সম্পর্কে মানুষ ভুল মেসেজ পাবে। ইসলামিক রাজনীতি করলে পুরোপুরি সেটাই করা উচিত। আর মধ্যপন্থি রাজনীতি করলে, সেটাই করা উচিত।’
সবশেষ তিনি লেখেন, ‘পলিটিক্যাল ইসলাম বলে কিছু নাই। ইসলাম কায়েম ও শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠানের মাঝখানে কোনো কৌশল কাজ করে না। বরং এই কৌশলের কারণে আপনি বুঝেশুনে ইসলামকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। এই ক্ষতি থেকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন, আমিন।’
সকাল নিউজ/এসএফ