লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা ধরনের গান গাইলেও শ্রোতাদের কাছে ফরিদা পারভীনের পরিচিতি ছিল ‘লালনকন্যা’ হিসেবে। পাঁচ দশক ধরে তার কণ্ঠে লালন সাঁইয়ের গান মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। তার গানে আমাদের সংস্কৃতির অন্তর্লীন দর্শন ও জীবনবোধ নতুন মাত্রায় প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও গান থেকে দূরে থাকেননি ফরিদা পারভীন। সঙ্গীতের প্রতি তার অনুরাগ প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই শিল্পীর অবদান বাংলাদেশের সংগীত জগতে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নতুন চিন্তা ও সৃষ্টির উৎস হিসেবে কাজ করবে বলেও তিনি শোকবার্তায় উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ফরিদা পারভীনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে, সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় তারা এ শোক জানান।
তারা বলেন, ফরিদা পারভীন ছিলেন লালন সংগীতের জীবন্ত কণ্ঠ। তার অসাধারণ কণ্ঠে লালন গীতি শুধু সংগীতের মাধুর্যই নয়, বরং মানবতা, সাম্য, ভালোবাসা ও সত্যের বাণী হয়ে মানুষের অন্তরে গভীরভাবে অনুরণিত হয়েছে। বিএনপি নেতারা আরও বলেন, তার মৃত্যুতে জাতি এক মহান গুণী শিল্পীকে হারাল। বাংলা সংগীতে এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।
শোকবার্তায় ফরিদা পারভীনের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তারা। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও অসংখ্য ভক্ত-শ্রোতার প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরিদা পারভীন শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
সকাল নিউজ/এসএফ