তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়টি আবারও জটিল হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে স্পষ্ট মতভেদ দেখা দেয়।
বিএনপি-জামায়াতের অবস্থান
বিএনপি ও জামায়াতের মতে, উপদেষ্টা বাছাই কমিটি সফল না হলে সংবিধানের ১৩তম সংশোধনী অনুসারে বিচার বিভাগ থেকেই প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির কোনো ভূমিকা থাকবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বিকল্প প্রস্তাব
এনসিপি ও গণসংহতি আন্দোলনসহ কয়েকটি দল এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। তাদের মতে, বর্তমান বিচারপতিদের মধ্য থেকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করা হলে রাজনৈতিক প্রভাব ও পক্ষপাতিত্বের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। গণসংহতি আন্দোলনের নেতা আবুল হাসান রুবেল বলেন, বিএনপি-জামায়াত এক জোট হওয়ায় অন্য দলের মতামত গুরুত্ব পাচ্ছে না।
তিনি বিকল্প হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ প্যানেল করার কথা বলেছেন। এই প্যানেল থেকে র্যাঙ্কিং পদ্ধতিতে প্রধান উপদেষ্টা বাছাই করার প্রস্তাব করেন রুবেল।
অন্য ইস্যুতে দ্বিমত
কমিশনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ছিল, একই ব্যক্তি যেন একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হতে না পারেন। অধিকাংশ দল এতে একমত হলেও কিছু দল এখনো এর বিরোধিতা করছে।
ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো ও নেতৃত্ব নির্ধারণের ক্ষেত্রে ঐকমত্যের বদলে মতবিরোধই প্রকট হচ্ছে। জাতীয় ঐক্য গড়ার পথে এই অমীমাংসিত মতভেদ এখন বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা দিয়েছে।