নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করা হয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ভারত ঢাকায় নিজেদের হাইকমিশনারকে পাঠিয়ে সাম্প্রতিক হুমকি এবং কিছু বাংলাদেশি রাজনৈতিক ব্যক্তির ভারতবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্যের জন্য আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। এর আগে গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল। এর ২ দিনের মাথায় দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করা হলো।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষ করে ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর মন্তব্যের কারণে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে। তিনি এক জনসভায় ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর জন্য ব্যবহৃত ‘সেভেন সিস্টার্স’ শব্দটি উল্লেখ করে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন।
এ ছাড়া তিনি দাবি করেছেন, যদি বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হয়, তাদের দল উত্তর-পূর্ব বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দেবে।
এর আগে ভারতের দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। হাইকমিশনার হামিদুল্লাহ এই অনুষ্ঠানে দেশ ও বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
হামিদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক পারস্পরিকভাবে উপকারী এবং দুই দেশ একসঙ্গে সমৃদ্ধি, শান্তি ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার দিকে এগোতে পারে। তিনি দুই দেশের সহযোগিতা ও অংশীদারত্বের গুরুত্বও উল্লেখ করেছেন। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিক্ষোভের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়, যা দু’দেশের কূটনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে। এই অবস্থায় ২০২৬ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার সঙ্গে উত্তেজনামূলক বক্তব্য প্রতিবেশী দেশদু’টির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জটিল করে তোলার ঝুঁকিতে রয়েছে।
সকাল নিউজ/এসএফ

