স্বৈরাচার যাতে আসতে না পারে সেজন্যই সংস্কার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে স্বৈরাচার আসার সব পথ আমরা এই সংস্কারের মাধ্যমে বন্ধ করে দিতে চাই। যাতে কোন দিক দিয়ে স্বৈরাচার আসতে না পারে। বাকিটা আমরা জানি। স্বৈরাচার বন্ধ করতে হলে সবাইকে একমত হয়ে কাজ করতে হবে।’
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের কথা পুর্নব্যক্ত করে তিনি বলেন, নির্বাচন মহোৎসবের হবে। যদি আমরা আমাদের এগুলো ফয়সালা করে ফেলতে পারি তাহলে এটা মহাউৎসব এবং জাতির সত্যিকার নবজন্ম হবে। এটা শুধু নির্বাচন না, এটা নবজন্ম। এত ত্যাগ, রক্ত-আত্মাহুতি স্বার্থক হবে যদি আমরা নবজন্মটা লাভ করতে পারি।’
রবিবার বিকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। সকলের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতেই আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও দৃঢ়কণ্ঠে জানান ড. ইউনুস।
এর আগে দুপুর ৩টায় রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে আয়োজিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলোচনা সভায় যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। সভায় ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় ড. ইউনূস বলেন, ‘ভেতরে কোন রকমের দুশ্চিন্তা রেখে আমাদের যেন নির্বাচনে ঢুকতে না হয়। উৎসব এখান থেকে শুরু হবে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথামার্ধেই হবে। এটাই হল পথ। আমরা হাইওয়ে বানিয়ে ফেলেছি। এ পথেই যাব। আমাদের আবেদন সব পথঘাট বন্ধ করতে হবে, যাতে কোনো জায়গা দিয়ে ঢুকতে (স্বৈরাচার) না পারে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজটা করে ফেলতে পারলে আমাদের দেশ নিশ্চিন্ত হবে এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আমাদের থেকে শিখতে আসবে।
ছাত্র জনতা গণঅভ্যুত্থানের আলাদিনের চেরাগের দৈত্য তৈরি করে দিয়েছে মন্তব্য করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘কোনো বিষয় ছোট আকারে না রেখে, এই জাতিকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে তৈরি করে দিয়ে যাব। এ সুযোগটা এসেছে। সেখানে ছোটখাট বিষয়ের মধ্যে আটকে গিয়ে আমরা যেন মূল বড় জিনিস থেকে হারিয়ে না ফেলি।’
সকাল নিউজ/এসএফ