লালমনিরহাটের পাটগ্রামে উদ্ধার করা হয়েছে রোগাক্রান্ত গরুর জবাই করা পচা মাংস। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা (স্যানিটারী অফিসার) কর্তৃক পাটগ্রাম পৌরসভার মির্জারকোট গ্রামের সরেওর বাজার এলাকা থেকে এ মাংস জব্দ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোগাক্রান্তের বিষয় গোপন রেখে পা ভেঙ্গে যাওয়ার কথা বলে শনিবার সন্ধ্যায় একটি গরু বিক্রি করেন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইছামুদ্দিন। গরুটি কিনে নেন একই এলাকার স্থানীয় কসাই নুরুজ্জামান।
ওইদিন রাতে নিজ বাড়িতে গরুটি জবাই করেন তিনি। এ সময় গরুর মাংসের রং ভিন্ন ও মাংস দুর্গন্ধ হয়ায় সন্দেহ হয় নুরুজ্জামানের। পরদিন তিনি বিষয়টি ইছামুদ্দিন জানিয়ে গরুর মাংস গুলো নিয়ে টাকা ফেরত চান। ইছামুদ্দিন টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন।
একপর্যায়ে রোগাক্রান্ত গরু জবাই ও মাংসের বিষয়টি লোকমুখে জানাজানি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা (স্যানিটারী অফিসার) শায়লা পারভীন ও থানা পুলিশ। এ সময় প্রায় ৫০ কেজি গরুর মাংস উদ্ধার করে মাটিতে পুতে ফেলা হয়।
এ ব্যাপারে নুরুজ্জামান বলেন, ‘মিথ্যা কথা বলে আমার কাছে গরু বিক্রি করেছে। আমি মাংস দেখে ইছামুদ্দিনকে বলেছি এই গরুর মাংস খাওয়ার মত না। আমি গরীব মানুষ আমার টাকা ফেরত দেন। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করে। আমি এই গরুর মাংস বিক্রি করি নাই।’
উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা (স্যানিটারী অফিসার) শায়লা পারভীন বলেন, ‘মাংসগুলা পচা। এগুলো উদ্ধার করে পুতে ফেলা হয়েছে। প্রথমবার এ ধরণের গরু নিয়ে জবাই করায় কসাই নুরুজ্জামানকে সর্তক করা হয়েছে। গরু বিক্রেতাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওই ব্যক্তি অসুস্থ্য গরু বিক্রি করা মোটেও ঠিক করেনি।’
এ ব্যাপারে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে থানা-পুলিশ গিয়েছিল। সেখানে স্যানিটারী অফিসারসহ জব্দকৃত মাংস পুতে ফেলা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে এলকায় সবাইকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।’
সকাল নিউজ/এসএফ