নিজের নাম, ছবি ও কণ্ঠস্বরের অননুমোদিত ব্যবহারের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে তার ছবি ও কণ্ঠস্বর বিকৃতভাবে উপস্থাপন করার অভিযোগে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) তিনি আদালতে একটি আবেদন জমা দেন।
এতে অভিযোগ করা হয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে তার ছবি ও কণ্ঠস্বর বিকৃতভাবে উপস্থাপন করায় তার ব্যক্তিগত মর্যাদা এবং পেশাগত ভাবমূর্তির জন্য হুমকিস্বরূপ। একইভাবে ঐশ্বরিয়ার জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করে কিছু অসাধু চক্র সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
ঐশ্বরিয়ার আইনজীবী সন্দীপ শেঠি আদালতে জানান, অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন পণ্যে যেমন কফি মগ, টি-শার্ট ইত্যাদিতে অভিনেত্রীর নাম ও ছবি ব্যবহৃত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ইউটিউব ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এআই-জেনারেটেড আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও, যা অভিনেত্রীর সম্মানহানির আশঙ্কা তৈরি করেছে।
এছাড়া, ‘নেশন ওয়েলথ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান সরাসরি ঐশ্বরিয়ার নাম ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির লেটারহেডে তাকে ‘চেয়ারপার্সন’ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে- যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং প্রতারণামূলক।
আইনজীবী স্পষ্ট করে বলেন, ‘শুধু নাম ও ছবি ব্যবহার করেই কেউ কেউ অর্থ উপার্জন করছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, কিছু আপত্তিকর এআই ছবি ব্যবহার করে মানুষের যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে একই ধরনের অভিযোগ নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়ার শ্বশুর, বলিউড কিংবদন্তি অমিতাভ বচ্চন। তখন আদালত তার নাম, ছবি ও কণ্ঠস্বর অনুমতি ছাড়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আদেশ দেন।
সকাল নিউজ/এসএফ