ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রগুলোতে থাকা ছাত্রদলের এজেন্টরা কেন্দ্রে সরাসরি ভোটারদের ম্যানিপুলেট (প্রভাবিত করা) করার চেষ্টা করেছেন অভিযোগ করে ভোট গণনায় কারচুপি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের পর ভোট গণনা চলার মধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সভাপতি বাকের মজুমদার বলেন, ‘প্রতি হলের ৩০০টি ভোট করে যদি কনভার্ট (অন্য প্রার্থীর দেখানো) করতে পারে, তাহলে ৫ হাজার ৬০০ ভোট হয়ে যায়। একজন প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার জন্য এর চেয়ে বেশি ভোটের প্রয়োজন নেই। আমরা জানি না ভেতরে নির্বাচন নিয়ে এখন কী হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আটটি কেন্দ্রে যারা পোলিং অফিসার হিসেবে ছিলেন, তাদের বলা হয়েছে, আপনাদের কোনো কাজ নেই, চাইলে চলে যেতে পারেন, আপনাদের প্রয়োজন নেই। এ বিষয়টা হচ্ছে এমন, আপনি সম্মানের সাথে চলে যান, যা করার, আমরা তা করব।’
ভোট গণনা সম্প্রচারের এলইডি স্কিন বন্ধ রাখা হয়েছে অভিযোগ করে আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘আমরা দেখেছি কার্জন হলের সামনে ২০ মিনিটের মতো এলইডি স্ক্রিন বন্ধ ছিল। শামসুন্নাহার হলে এক ঘণ্টা পর এলইডি স্ক্রিন এসেছে। অনেক সাংবাদিক বিভিন্ন ভোট গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন, তাদের সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে তারা আমাদের জানিয়েছেন।’
এ ছাড়া কয়েকটি কেন্দ্রে আগে থেকে ব্যালট পেপার পূর্ণ করা ছিল বলে অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান আবু বাকের মজুমদার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছেন বলে অভিযোগ করে বাকের মজুমদার বলেন, ‘মির্জা আব্বাস ডাকসু নির্বাচনের কোনো কিছুর সাথে সংশ্লিষ্ট না। কিন্তু তিনি আজ এখানে প্রবেশ করা মানে একটা ভিন্ন বার্তা যাচ্ছে দেশবাসীর কাছে। মির্জা আব্বাসের আজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই, রাইট (অধিকার) নেই। প্রবেশ করেছেন কেন, এটা সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।’
সকাল নিউজ/এসএফ