অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এবারের চিত্র একেবারেই নাজুক। হাতে হাতকড়া ও পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তাদের বহনকারী একটি বিশেষ বিমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পরে রাত ২টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রানওয়ে থেকে শিকল খুলে অ্যারাইভাল গেটে নেওয়া হয়। এ সময় কাউকে তাদের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। কাউকে কোনো ধরনের ছবিও তুলতে দেওয়া হয়নি।
ইমিগ্রেশনের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সকাল নিউজকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাত ১১টার পরপরই একটি উড়োজাহাজ বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তিন ঘণ্টা বিমানটি রানওয়েতে ছিল। রাত ২টার দিকে আরোহীদের হাতকড়া ও শিকল খুলে দেওয়া হয়।
পরে তাদের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল এরিয়ায় নেওয়া হয়। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ টিম, কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ টিম এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি পৌঁছানোর জন্য অর্থসহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
এর ধারাবাহিকতায় একাধিক দফায় বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এর আগে আরও কয়েক দফায় বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হয়। গত কয়েক মাসে তিন ধাপে ১৮৭ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়।
মার্কিন আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। যাদরকে ফেরত পাটানো হয় তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মামলা আছে। এসব বাংলাদেশি মেক্সিকোসহ ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ হয়ে বাংলাদেশি দালালদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করে। বাংলাদেশিরা জনপ্রতি ৩০ থেকে ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত দালালদের পেছনে খরচ করে তারা।
সকাল নিউজ/এসএফ