মার্কিন নৌবাহিনীর গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস জেসন ডানহাম-এর ওপর দিয়ে বৃহস্পতিবার উড়ে গেছে ভেনেজুয়েলার দুটি সশস্ত্র এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। জেসন ডানহাম সম্প্রতি ওই অঞ্চলে পাঠানো মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলোর বহরের অংশ।
সিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাটিকে ‘শক্তি প্রদর্শন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে ভেনিজুয়েলার পক্ষ থেকেও এই ইস্যুতে কিছু জানানোহয়নি।
পেন্টাগনের দাবি, এই যুদ্ধজাহাজগুলো মূলত অপরাধী সংগঠন ও মাদক-সন্ত্রাসবাদ দমনে অভিযান চালাতে মোতায়েন করা হয়েছে। তবে উড়োজাহাজগুলোর ওই কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন যুদ্ধজাহাজ কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিল কি না- তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রতিরক্ষা দপ্তর এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় দুটি ভেনেজুয়েলান বিমান মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজের কাছাকাছি উড়ে যায় ভেনিজুয়েলার এফ-১৬ যুদ্ধবিমান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই উস্কানিমূলক পদক্ষেপ আমাদের মাদক-সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে হস্তক্ষেপ করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। ভেনেজুয়েলায় কার্যরত মাদককারবারিদের আমরা কড়া সতর্কবার্তা দিচ্ছি—আমাদের এসব অভিযান ব্যাহত বা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা না করতে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাদকচক্র দমনে কঠোর অবস্থান নেওয়ার অঙ্গীকার করার পর থেকেই ভেনেজুয়েলার উপকূলীয় এলাকায় যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে পেন্টাগন।
এদিকে, ট্রাম্প ও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর মধ্যে উত্তেজনাও বাড়ছে। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, মাদুরো মাদকচক্রের সঙ্গে আঁতাত করে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার করছেন।
সম্প্রতি মাদুরোকে গ্রেপ্তারের জন্য ঘোষিত পুরস্কারের অর্থ দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৫ কোটি ডলার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে মাদুরো এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলো ‘অপরাধমূলক ও রক্তাক্ত হুমকি’। তিনি এর জবাবে উপকূল পাহারায় ড্রোন ও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার মার্কিন সামরিক বাহিনী দাবি করে, ভেনেজুয়েলা থেকে মাদক বহনকারী একটি নৌকা তারা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।
ওই অভিযানে ভেনেজুয়েলার কুখ্যাত গ্যাং ট্রেন দে আরাগুয়ার সদস্য বলে অভিযুক্ত ১১ জন নিহত হয়েছে বলে জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
সকাল নিউজ/এসএফ