সিলেটের ভোলাগঞ্জের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ‘সাদাপাথর’ থেকে পাথর লুটের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের দায় খতিয়ে দেখতে এবার ‘প্রকাশ্যে’ অনুসন্ধান শুরুর তথ্য দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালাতে কমিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল।
অভিযানের শেষে প্রতিবেদনে তারা অনুসন্ধানের সুপারিশ করেছেন এবং কমিশন এ বিষয়ে পর্যালোচনা করার পর অনুসন্ধান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আগের অভিযানের প্রতিবেদনের বরাতে সাদাপাথর লুটের পেছনে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে অনুসন্ধান কাদের বিরুদ্ধে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক বলেন, ‘প্রকাশ্য অনুসন্ধানটি করা হচ্ছে দায়-দায়িত্ব নির্ধারণের জন্য। নথিপত্রের ভিত্তিতে যাদের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান পরিচালনা করা হবে।’
এ বিষয়ে সংস্থার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গতকাল দুদকের কমিশন সভায় বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য উত্থাপন করা হলে কমিশন সেটি প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের জন্য সিদ্ধান্ত দেয়।’
সাদাপাথর থেকে পাথর লুট নিয়ে দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওসিসহ সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সদস্যরা অবৈধ পাথর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের কমিশন গ্রহণ করে সাদাপাথর লুটপাটে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন।
পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, অন্যান্য ব্যক্তি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ৫৩ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়ার তথ্য উঠে আসে ওই প্রতিবেদনে।
সকাল নিউজ/এসএফ

