পূর্ব আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে বেড়েই চলেছে নিহতের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত ১১০০ জন নিহত এবং প্রায় ৩ হাজার জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জীবিতদের অনুসন্ধানে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
তবে প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছাতে এবং উদ্ধার কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে বেশ লড়াই করতে হচ্ছে তাদের। বিবিসি জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা হেলিকপ্টার ব্যবহার করে এখনো জীবিতদের সন্ধান করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় গত রবিবার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৮ কিলোমিটার গভীরে। এরপর থেকে অন্তত আরও তিনটি কম্পন অনুভূত হয়। সেগুলোর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ২–এর মধ্যে।
এতে দেশটির কুনার প্রদেশের বেশ কয়েকটি গ্রাম মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। যেখানে সড়ক ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ধ্বংসস্তূপে রাস্তা বন্ধ থাকায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাহাড়ি ভূখণ্ডের কারণে স্থলপথে যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো আকাশপথে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
এদিকে, তালেবান সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য আবেদন করেছে। জাতিসংঘ এরই মধ্যে জরুরি তহবিল প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ১ মিলিয়ন পাউন্ড সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ। ফলে দেশটিতে এরকম ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। বিশেষত হিন্দুকুশ পর্বতমালায় প্রায়ই বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ অঞ্চলে ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল হওয়ায় ভূমিকম্পের ঝুঁকি বেশি।
এর আগে ২০২৩ সালে পশ্চিম আফগানিস্তানে হেরাত শহরের কাছে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। তার আগের বছর পূর্ব আফগানিস্তানে ৫.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। যার ফলে কমপক্ষে ১০০০ মানুষ মারা যায় এবং আরো ৩০০০ জন আহত হন।
সকাল নিউজ/এসএফ